Advertisment

বাংলায় রাষ্ট্রপতি শাসন চেয়ে সুপ্রিম কোর্টে জনস্বার্থ মামলা

বাংলায় নির্বাচন পরবর্তী হিংসা চলছে, এই অভিযোগ তুলে আবেদনে বলা হয়েছে, কেন্দ্রকে ৩৫৬ ধারা প্রয়োগের নির্দেশের পাশাপাশি আদালত যেন একটি বিশেষ তদন্তকারী দল (সিট) গঠন করে।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
President rule in Bengal, PIL, Supreme Court

বাংলায় রাষ্ট্রপতি শাসন চেয়ে সুপ্রিম কোর্টে জনস্বার্থ মামলা করলেন এক আইনজীবী। কেন্দ্রীয় সরকারকে নির্দেশ দিক সুপ্রিম কোর্ট। সর্বোচ্চ আদালতে এমনই আবেদন জানিয়েছেন আইনজীবী ঘনশ্যাম উপাধ্যায়। বাংলায় নির্বাচন পরবর্তী হিংসা চলছে, এই অভিযোগ তুলে আবেদনে বলা হয়েছে, কেন্দ্রকে ৩৫৬ ধারা প্রয়োগের নির্দেশের পাশাপাশি আদালত যেন একটি বিশেষ তদন্তকারী দল (সিট) গঠন করে। ইতিমধ্যেই বাংলায় ১৬ জন বিজেপি কর্মী, সমর্থকের মৃত্যু হয়েছে। এমনটাই দাবি করেন ওই আইনজীবী।

Advertisment

বিধানসভা নির্বাচনের আগে থেকেই রাজ্য বিজেপি নেতাদের কেউ কেউ বাংলায় রাষ্ট্রপতি শাসনের দাবি জানিয়েছিলেন। ভোট পরবর্তী হিংসা এবং সম্প্রতি নারদ কাণ্ডে রাজ্যের ২ মন্ত্রী-সহ ৪ জনের গ্রেফতার ও তার পরবর্তী ঘটনাক্রম নিয়ে রাষ্ট্রপতি শাসনের সম্ভাবনা নিয়ে জল্পনা তৈরি হয়েছে। এরই মধ্যে সুপ্রিম কোর্টে এমন একটি আবেদন জমা পড়েছে বলে জানিয়েছে আইন সংক্রান্ত খবরের ওয়েবসাইট ‘বার অ্যান্ড বেঞ্চ’।

আবেদনকারী আদালতকে জানিয়েছেন, পশ্চিমবঙ্গে আইনের শাসন নেই। তৃণমূল সরকার সাধারণ মানুষের জীবন, সম্পত্তি ও স্বাধীনতা রক্ষায় ব্যর্থ দাবি করার পাশাপাশি ঘনশ্যামের বক্তব্য, ‘যাঁরা বিজেপি-কে ভোট দিয়েছিলেন তাঁরাই বেশি আক্রান্ত। শাসক দলের অত্যাচারের ফলে বাংলার যে অবস্থা তাতে আদালতের কেন হস্তক্ষেপ করা উচিত।‘ ঘনশ্যাম সুপ্রিম কোর্টকে পিটিশনে জানিয়েছেন, ভারতে যেন ‘তালিবান’ শাসিত হয়ে না যায়।

এদিকে, ধৃত চার নেতা-মন্ত্রীর জামিনে স্থগিতাদেশের পুনর্বিবেচনার আর্জি মামলার মধ্যেই সিবিআইয়ের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের হল গড়িয়াহাট থানায়। বুধবার ভারতীয় দণ্ডবিধিন ১৬৬, ১৬৬এ, ১৮৮ এবং ৩৪ নম্বর ধারায় মামলা দায়ের হয়েছে। একইসঙ্গে বিপর্যয় মোকাবিলা আইনেও এফআইআর দায়ের হয়েছে।

প্রসঙ্গত, গত সোমবার রাজ্যের মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য লালবাজারে একটি অভিযোগ দায়ের করেন। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে লালবাজার থেকে গড়িয়াহাট থানার পুলিশকে জানানো হয়। যেহেতু অভিযোগকারী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য গড়িয়াহাট থানা এলাকার বাসিন্দা। তাই এই থানাতেই এফআইআর দায়ের হয়েছে।

উল্লেখ্য, সরকারি নির্দেশ অমান্য করলে ১৬৬, ১৬৬এ ধারায় মামলা হয়। তার সঙ্গে যুক্ত করা হয়েছে ১৮৮ এবং ৩৪ নম্বর ধারা। একইসঙ্গে লকডাউনের মধ্যে কোভিড বিধি ভঙ্গ করে সিবিআই তল্লাশি চালিয়েছে বলে বিপর্যয় মোকাবিলা আইনে মামলাও হয়েছে।

এদিকে, হাইকোর্টে শুরু নারদ মামলার শুনানি। সোমবার নিম্ন আদালতের জামিনের বিরোধিতায় করা সিবিআইয়ের দায়ের করা মামলায় হাইকোর্ট বলেছে, ‘জামিন হবে কিনা আমরা কেন সিদ্ধান্ত নেব? মানুষের চাপের অভিযোগ ছিল তাই জামিনে স্থগিতাদেশ দিয়েছি।’ ‘করোনাকালে জেলে রাখার দরকার আছে কি?’ সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহেতাকে এই প্রশ্ন করে হাইকোর্ট। এদিন ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি এবং বিচারপতি অরিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়ের বেঞ্চে এই মামলার শুনানি চলছে।

supreme court PIL
Advertisment