দ্বিতীয় ঢেউয়ে ধস্ত ইউপি! শাহারানপুরে একা কুম্ভ রক্ষায় ডক্টর শর্মার ‘আনন্দ আশ্রম’

সক্রিয় সংক্রমণের বিচারে দেশের চতুর্থ রাজ্য উত্তর প্রদেশ। আড়াই লক্ষ ছাড়িয়েছে সক্রিয় সংক্রমণ। পরিস্থিতি এতটাই ভয়াবহ যে দ্বিতীয় ঢেউ শহর ছেড়ে এখন গ্রামীণ জেলাগুলোয় প্রকোপ বাড়িয়েছে।

সক্রিয় সংক্রমণের বিচারে দেশের চতুর্থ রাজ্য উত্তর প্রদেশ। আড়াই লক্ষ ছাড়িয়েছে সক্রিয় সংক্রমণ। পরিস্থিতি এতটাই ভয়াবহ যে দ্বিতীয় ঢেউ শহর ছেড়ে এখন গ্রামীণ জেলাগুলোয় প্রকোপ বাড়িয়েছে।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
Corona India, UP, Active Cases

এভাবেই প্রতিদিন রোগী দেখে চলেছেন চিকিৎসক ভিকে শর্মা। ছবি : প্রবীন খান্না

শুধু সর্দি-কাশি, ঠিক হয়ে যাবেন। এভাবেই নিজের রোডসাইড ক্লিনিকে মৃত্যুপথযাত্রী রোগীদের সান্ত্বনা দিয়ে চলেছেন চিকিৎসক ভিকে শর্মা। উত্তর প্রদেশের সাহারানপুর জেলার বারগাঁও গ্রামে একা কুম্ভ রক্ষা করে চলেছেন এই চিকিৎসক। গত ৪৫ বছর নিজের ‘আনন্দ আশ্রম’-এ ফ্লু, ভাইরাল জ্বর কিংবা ইনফ্লুয়েঞ্জার চিকিৎসা করছেন ডক্টর শর্মা। কিন্তু তিনি জানেন এবার পরিস্থিতি অন্যরকম।

Advertisment

সক্রিয় সংক্রমণের বিচারে দেশের চতুর্থ রাজ্য উত্তর প্রদেশ। আড়াই লক্ষ ছাড়িয়েছে সক্রিয় সংক্রমণ। পরিস্থিতি এতটাই ভয়াবহ যে দ্বিতীয় ঢেউ শহর ছেড়ে এখন গ্রামীণ জেলাগুলোয় প্রকোপ বাড়িয়েছে। ফলে পাল্লা দিয়ে বেড়েছে কোভিড উপসর্গ নিয়ে আসা রোগীর সংখ্যা। সেভাবেই গত কয়েকসপ্তাহ ধরে রোগীর ঢল নেমেছে বিকে শর্মার ছোট ক্লিনিকে।

এদিকে, করোনা উপসর্গ-সহ রোগী বৃদ্ধির সঙ্গেই বদলেছে তার ক্লিনিকের চেহারা। রোগীর বেড আর ডাক্তারবাবুর চেয়ার-টেবিলকে পৃথক করেছে কাঠের পাটাতন। বৃহস্পতিবার তাঁর ক্লিনিকে গিয়ে দেখা গিয়েছে একটাই বেড সেটায় রোগী। আর বাইরে অপেক্ষায় আরও আরও ১০ জন। ক্লিনিকে ঢোকার প্রবেশ পথে একটা স্লাইডিং দরজা। সেই দরজার বাইরে আবার ছয়টি খাটিয়া পাতা। প্রতি খাটেই রোগী। কারও স্যালাইন চলছে, কেউ শুধুই কাশছে।

চিকিৎসক শর্মার সঙ্গে কথা বলে জানা গিয়েছে, মার্চ মাস পর্যন্ত তাঁর ক্লিনিকে প্রতিদিন গড়ে ১০ জন করে রোগী আসতেন। এখন সেই সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ১০০। তবে এত প্রতিকূলতার মধ্যেও কোনও রোগীর মৃত্যুর খবর নেই। ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে গর্বের সঙ্গে বললেন সেই চিকিৎসক।

Advertisment

এই দাবির পিছনে একটা সঙ্গত কারণ দেখান ডাক্তার শর্মা। অক্সিজেন মাত্রা ৯২-এর ওপরে কিন্তু করোনা উপসর্গ রয়েছে, এমন রোগীর চিকিৎসা করেন তিনি। অক্সিজেন মাত্রা ৯০-এর নীচে নামলেই হাসপাতালে ভর্তি হতে নিদান দেন ডক্টর শর্মা।

তিনি বলেছেন, ‘আর কী করতে পারি, মৃদু উপসর্গ আছে এমন রোগীদের কোমর্বিডিটির চিকিৎসা করি।, যাতে বাড়াবাড়ি না হয়।‘

Active Cases Corona India Second Wave of Corona