স্থানীয় মানুষ বলছে হীর-রাঞ্ঝা কে হারিয়ে দেওয়া 'ভয়ানক' এই প্রেম কাহিনী। লখনউ থেকে ২০০ কিলোমিটার দূরে তেরাই অঞ্চলের এক গ্রাম। সেখানে ১৬ বছরের এক মেয়ে ২০ বছরের এক ছেলেকে বিয়ে করার জন্য নিজের পরিবার, গ্রামবাসী, সরকার, এমন কী সুপ্রিম কোর্টের বিরুদ্ধে গিয়ে দাঁড়িয়েছে।
বিয়ের পর কেটে গিয়েছে ৩ মাস। ছেলের মুখে শোনা গেল, "ও বিয়ের সিদ্ধান্তের ব্যাপারে আর কারোর কথা শুনতে রাজি ছিল না। আর আমিও ওকে বিশ্বাস করেছিলাম। ওর সিদ্ধান্ত বদলাবে না জানতাম। আমরা গুরুজনদের সামনেই ইসলাম মতে বিয়ে করেছি। বাকি সব এখন আল্লাহের হাতে"।
গ্রামের অধিকাংশই উচ্চ বংশের মুসলিম, কেউ শেখ, কেউ পাঠান। সবাই শরিয়া নিয়ম অনুযায়ী সিদ্ধান্তে এসেছেন বয়ঃসন্ধি পেড়িয়ে যাওয়ার ফলে এই বিয়েতে অমতের কনো কারণ নেই। কিন্তু সবাই স্বীকারও করেছেন এমন ঘটনা এই প্রথম।
আরও পড়ুন, কমলেশ তিওয়ারি হত্যার নেপথ্যে ‘যড়যন্ত্র’, দাবি পরিবারের
চলতি বছরের ২২ জুন, বেলা ১১ টার সময় এক প্রতিবেশী গ্রাম থেকে মৌলবি ডেকে এনে নিকাহ করেন। পরের দিন মেয়ের বাবা ছেলের বিরুদ্ধে এফআইআর করেন। ভারতীয় দণ্ডবিধির আওতায় অপহরণ, এবং বলপূর্বক বিয়ে করতে বাধ্য করার অভিযোগ আনা হয়।
ঘটনার দায়িত্বে থাকা সাব ইনস্পেকটর শৈলেন্দ্র যাদব জানিয়েছেন, আমরা মেয়েটিকে ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে পেশ করেছি। সে তাঁর পরিবারের কাছে ফিরতে অস্বীকার করছে। নাবালিকা হওয়ায় তাঁকে নারী নিকেতনে পাঠানো হয়েছে।
ছেলেটি হাইকরর্টে অভিযোগ জানিয়েছে মেয়েটিকে তাঁর ইচ্ছার বিরুদ্ধে আতকে রাখা হয়েছে। হাইকোর্ট এই অভিযোগ খারিজ করে দিলে তারা সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করে। তবে সাধারণত আইন বলে বিয়ে করতে হলে মেয়ে এবং ছেলের অন্তত ১৮ এবং ২১ বছর বয়স হতে হবে।
অল ইন্ডিয়া মুস্লিম পার্সোনাল ল বোর্ড সেক্রেটারি জাফারায়েব জিলানি এই প্রসঙ্গে জানিয়েছেন, "ছেলে এবং মেয়েটি প্রাপ্তবয়স্ক না হলে বিয়ে করার ক্ষেত্রে অভিভাবকের অনুমতি প্রয়োজন। যদিও ইসলাম মতে প্রাপ্তবয়স্কের সংজ্ঞা আলাদা। এ ক্ষেত্রে বয়ঃসন্ধিকে গুরুত্ব দেওয়া হয়।
Read the story in English