Advertisment

মোদী টাকা দিয়েছে ভেবে, অ্যাকাউন্টের একলক্ষ টাকা খরচ করে শ্রীঘরে গ্রাহক

করোনাকালে আধার লিংক করতে গিয়েই ঘটিয়েছিলেন বিপত্তি।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
Modi

ছবি- জিত্রাই সামন্ত (ডানদিকে)

দুই বছর আগে তাঁর আধার নম্বরের সঙ্গে একটি ব্যাংক অ্যাকাউন্ট 'ভুলবশত' লিংক হয়ে যাওয়ায় স্বাধীনতাই হারিয়ে ফেললেন জিত্রাই সামন্ত। ঝাড়খণ্ডের পশ্চিম সিংভূম জেলার বছর ৪২-এর বিড়ি শ্রমিককে এক মহিলার অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা তোলার অভিযোগে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। অভিযোগ উঠেছে, জিত্রাইয়ের ব্যাংক অ্যাকাউন্ট তাঁর আধার নম্বরের সঙ্গে ভুলবশত লিংক করা হয়েছিল।

Advertisment

সামন্ত দুই বছর আগে তাঁর অ্যাকাউন্টে থাকা এই অর্থের ব্যাপারে জানতে পেরেছিলেন এক কমন সার্ভিস সেন্টারের মাধ্যমে জানতে পেরেছিলেন। সেই সময় দেশজুড়ে করোনা ব্যাপক প্রভাব ফেলেছিল। কমন সার্ভিস সেন্টারগুলো দেশের গ্রামীণ এবং প্রত্যন্ত অঞ্চলে প্রয়োজনীয় জনসেবা, কল্যাণ প্রকল্প ইত্যাদি সরবরাহের জন্য অ্যাক্সেস পয়েন্ট হিসাবে কাজ করে। সূত্রের মতে, সিএসসি-র সেন্টারে একজন ব্যাংক মিত্রও থাকতেন। যাঁরা অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা তুলতে বা ভরতে সহায়তা করতেন।

কিন্তু, এই সংক্রান্ত আইনের কড়াকড়ি গত সেপ্টেম্বরে সামন্ত বুঝতে পারেন। সেই সময় ঝাড়খণ্ড রাজ্য গ্রামীণ ব্যাংকের ম্যানেজার শ্রীমতি লাগুরি নামে এক গ্রাহকের থেকে অভিযোগ পান যে তাঁর অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা গায়েব হয়েছে। ম্যানেজার সিএসসি কর্তৃপক্ষকে চিঠি দেন। সমস্যাটি খুঁজে পাওয়ার পর সামন্তকে টাকা ফেরত দিতে বলেন। যেহেতু সামন্ত ওই টাকা ফেরত দিতে পারেননি, তাই তাঁর বিরুদ্ধে অক্টোবরে আইপিসি ধারা ৪০৬ (বিশ্বাসের অপরাধমূলক লঙ্ঘন) এবং ৪২০ (প্রতারণা)-এর অধীনে জেলার মুফাসিল থানায় একটি এফআইআর দায়ের হয়।

আরও পড়ুন- সব চেষ্টা ব্যর্থ, বিধায়ক রাজু পাল হত্যায় দোষী সাব্যস্ত গ্যাংস্টার-নেতা আতিক আহমেদ

Advertisment

এই ব্যাপারে স্থানীয় পুলিশ সুপার আশুতোষ শেখর দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে বলেছেন, 'সামন্তকে ২৪ মার্চ গ্রেফতার করা হয়েছিল। একটি ভুল ছিল। তাঁর আধার নম্বর অন্য কারও অ্যাকাউন্টের সঙ্গে লিংক করা হয়েছিল। কিন্তু, তিনি অর্থ ফেরত দেননি। সামন্ত সিএসসি পয়েন্টে ঘুষ দিয়ে এই কাণ্ড ঘটিয়েছে বলে অভিযোগ আছে। ভেবেছিল অন্য কেউ জানতে পারবে না। যখন পুলিশ তাঁকে এই ব্যাপারে নোটিস দেয়, তিনি আমাদের কাছে একটি চিঠি দিয়েছিলেন। যাতে লেখা ছিল, তাঁর বিশ্বাস প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী তাঁকে ওই টাকা পাঠিয়েছেন।'

bank modi jharkhand
Advertisment