Air Travel during Corona: অগাস্ট পর্যন্ত ভারত থেকে কানাডার সরাসরি যাত্রী বিমান পরিষেবা বন্ধ। এদেশ থেকে উত্তর আমেরিকার সে দেশে যেতে তৃতীয় কোনও শহর ব্যবহার করতে হচ্ছে ভারতীয়দের। ট্রুডো সরকারের এই নিয়মের ফাঁদে পড়েই প্রায় দেড় লাখ টাকা গরচা গেল এক ভারতীয় পড়ুয়ার। শুধু তাই নয় পাঞ্জাব থেকে কানাডা পৌঁছতে তাঁর নষ্ট হয়েছে ৬ ডিন। ভারত থেকে সার্বিয়া থেকে ফ্রাঙ্কফুর্ট হয়ে কানাডা। এই যাত্রাপথে ৩ ডিন সার্বিয়া এবং একদিন জার্মানিতে রাত কাটাতে হয়েছে হরমনজিত কৌরকে। তবেই মন্ট্রিয়াল পৌঁছে কলেজ ক্লাসে যোগ দিতে পেরেছেন ওই ছাত্রী।
তবে শুধু হরমন নয়, একইভাবে একগুচ্ছ টাকা খরচ করে লম্বা রুটে যাত্রা করে কানাডা পৌঁছন রামনেক সিং। পাঞ্জাব থেকে কানাডা পৌঁছতে তাঁর একসপ্তাহের বেশি সময় লেগেছে। প্রায় ৭ দিন তাঁকে সার্বিয়ায় থাকতে হয়েছে। সেদেশের সরকারের নতুন গাইডলাইন মেনেই এই কোয়ারান্টিন। ফলে শুধু বিমান ভাড়া নয় সার্বিয়ায় ৭ দিনের থাকা-খাওয়ার খরচও গুণতে হয়েছে তাঁকে।
২২ এপ্রিল থেকে কানাডা-ভারত সরাসরি বিমান যোগাযোগ বন্ধ। তাই অনেক ভারতীয় পড়ুয়াকে কানাডা পৌঁছতে একাধিক দেশ ঘুরতে হচ্ছে। মস্কো, মেক্সিকো, সার্বিয়া, কাতার, দুবাইয়ের মতো শহর কিংবা দেশ ঘুরে কানাডা পৌঁছন তাঁরা। ফলে এই যাত্রাপথে সংশ্লিষ্ট সেই দেশের কোভিড বিধি মেনে এক বা দু’দিন থাকতেই হচ্ছে। কিংবা অপেক্ষা করতে হচ্ছে আরটি-পিসিআর টেস্ট রিপোর্টের। মূলত করোনার টিকার দুটি ডোজ থাকলে আরটি-পিসিআর বাধ্যতামূলক নয়।
কিন্তু টিকা নিয়েও অনেকে ঝুঁকি নিতে নারাজ। তাই জটিলতা দূর করতে মধ্যবর্তী কোনও শহর থেকে আরটি-পিসিআর করছেন অনেকে। তাতেই বয়ে যায় সময় এবং অর্থ। এমনটাই সংবাদ মাধ্যমকে জানান রামনেক।
তিনি আরও বলেন, ‘ভারত-কানাডার যাত্রাপথে তৃতীয় যে শহর, সেখানে কেউ করোনা সংক্রমিত হলে নেগেটিভ আসা পর্যন্ত অপেক্ষা করতেই হয়। ফলে ব্যয় হয় ৭-৮ দিন। কিন্তু অন্য কোনও বিকল্প নেই।‘ ভারত থেকে কানাডার বিভিন্ন কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ে পাঠরত পড়ুয়ারা বলেছেন, ‘বাড়ি বসে অনলাইন ক্লাসের চেয়ে অফলাইন ক্লাসে বেশি গ্রহণযোগ্যতা। তাই কেউ কেউ দু’লক্ষ টাকা পর্যন্ত খরচ করে কানাডা পৌঁছন। যেখানে সরাসরি বিমান খরচ ৫০-৫৫ হাজার টাকা।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন