Uttar Pradesh: তিন অজ্ঞাত পরিচয় দুষ্কৃতীর গুলিতে জখম হলেন উত্তর প্রদেশের এক কংগ্রেস নেত্রী। জানা গিয়েছে, রীতা যাদব নামে ওই কংগ্রেস নেতাকে প্রাথমিক চিকিৎসার পর ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। যদিও সুলতানপুর জেলা পুলিশে অভিযোগ দায়ের করেন তিনি। যদিও এখনও পর্যন্ত কেউ গ্রেফতার হয়নি। সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে কালো পতাকা দেখিয়ে গ্রেফতার হয়েছিলেন তিনি। সেই নিয়ে উত্তর প্রদেশ রাজনীতিতে চলেছে বিস্তর হইচই।
ডিসেম্বর মাসেই সমাজবাদী পার্টি থেকে কংগ্রেসে নাম লিখিয়েছেন রীতা যাদব। নেত্রীর অভিযোগ, ‘লখনউ-বেনারস সড়কে তাঁর গাড়ি জোর করে দাঁড় করায় তিন আততায়ী। সেই সময় গাড়িতে ছিলেন নেত্রীর চালকও। তারপরেই গাড়ি লক্ষ্য করে গুলি চালায় আততায়ীরা।
জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জানান, রীতা যাদবের বয়ান রেকর্ড করা হয়েছে। তাঁর গাড়ির চালকের সঙ্গে কথা বলেও ঘটনা সম্বন্ধে জানার চেষ্টা চলছে। তদন্তকারীরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। কংগ্রেস নেত্রীর জখম পরীক্ষা করে দেখছেন চিকিৎসকরা। তবে তাঁর গাড়ির চালকের কোনও আঘাত লাগেনি। যেহেতু ঘটনার কোনও প্রত্যক্ষদর্শী নেই। তাই অভিযুক্তদের চিহ্নিত করতে সমস্যা হচ্ছে।
এদিকে, গত মাসে উত্তর প্রদেশের প্রয়াগরাজে স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলাদের জন্য হাজার কোটি টাকা ট্রান্সফার করেন প্রধানমন্ত্রী। এই টাকা সেই রাজ্যের ১৬ লক্ষ নারীর ক্ষমতায়ন এবং স্বনির্ভরতায় কাজে লাগবে। রাজ্য সরকার সুত্রে এমনটাই খবর। পাশাপাশি উত্তর প্রদেশে কিশোরীদের স্বনির্ভর করতে ২০ কোটি টাকা ট্রান্সফার করেন প্রধানমন্ত্রী। প্রায় লক্ষাধিক শিশুকন্যা এবং কিশোরী এই অর্থের সুবিধা পাবেন। তবে মোদির উত্তর প্রদেশ সফরের মধ্যেই ঘর ভাঙল বিজেপির। অখিলেশ যাদবের সমাজবাদী পার্টিতে যোগ দিলেন প্রাক্তন বিজেপি বিধায়ক রাম ইকবাল সিং।
উত্তর প্রদেশ সরকার-সহ রাজ্য বিজেপির সবচেয়ে বড় সমালোচক ছিলেন এই প্রাক্তন বিধায়ক। তাঁর সপায় যোগদান বাইশের ভোটের আগে উত্তর প্রদেশে বিজেপির বড় মাথাব্যথার কারণ হতে পারে। এদিকে, প্রয়াগরাজের অনুষ্ঠানে নারী ক্ষমতায়নে নিজের সরকারের প্রশংসায় পঞ্চমুখ ছিলেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘মহিলাদের স্বনির্ভর করতে অবিরাম কাজ করছে কেন্দ্রের সরকার। বাড়ানো হয়েছে মেয়েদের বিয়ের বয়স। নারী-পুরুষ সমানাধিকারের জন্য মহিলাদের আরও শিক্ষা দরকার। সময় হাতে থাকলেই নিজের পায়ে দাঁড়াতে পারবেন মহিলারা।‘
পাশাপাশি তাঁর সরকারের ‘বেটি বাঁচাও, বেটি পড়াও’ প্রকল্পকে কুর্নিশ জানিয়ে নরেন্দ্র মোদি বলেন, ‘কেন্দ্রীয় এই প্রকল্পের সুফল ঘরে ঘরে পৌঁছে দেওয়া গিয়েছে। তাই দেশে পুরুষের তুলনায় নারীর সংখ্যা বেড়েছে।‘ এদিনের অনুষ্ঠানে তাঁর মুখে শোনা গিয়েছে ডবল ইঞ্জিন সরকারের কার্যকারিতা। মোদি বলেন, ‘উত্তর প্রদেশের মা-বোনেরা চায় না পূর্বতন শাসক আবার রাজ্যে ফিরে আসুক। এই রাজ্যে ডবল ইঞ্জিন সরকার নারীদের সুরক্ষা, ভরসা, সম্মান দিয়েছে। বেড়েছে মহিলাদের মর্যাদা।‘
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন