ঠিক এক বছর আগে, ১৭ সেপ্টেম্বর, ২০২২ নামিবিয়া এবং দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে ২০ টি চিতাকে প্রোজেক্ট চিতার অধীনে কুনো জাতীয় উদ্যানে স্থানান্তরিত করা হয়। চলতি বছরের মার্চ থেকে এ পর্যন্ত ৬টি চিতার মৃত্যু হয়েছে। মুখ থুবড়ে পড়ে প্রজেক্ট চিতা। প্রশ্ন উঠতে শুরু করে রক্ষণাবেক্ষণ নিয়েও। জল গড়ায় সুপ্রিম কোর্ট পর্যন্ত। দক্ষিণ আফ্রিকার সঙ্গে চুক্তি অনুযায়ী ডিসেম্বরে ১০টি আরও নতুন চিতা আসার কথা। তার আগেই মধ্যপ্রদেশের গান্ধীসাগরে চিতাদের জন্য বিকল্প বাসস্থানের ব্যবস্থা করা হয়েছে।
'গান্ধী সাগর' হতে চলেছে 'চিতা'দের নতুন আবাসস্থল। ডিসেম্বরেই আসতে চলেছে আরও ১০টি চিতা। দেশের মধ্যে চিতাবাঘের স্থায়ী আবাসস্থল হতে চলেছে মধ্যপ্রদেশ। কুনো ন্যাশনাল পার্কের পর এখন মন্দসৌর জেলার গান্ধী সাগর বন্যপ্রাণী অভয়ারণ্য তৈরি হতে চলেছে। ডিসেম্বরের মধ্যে দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে এখানে আসতে চলেছে ১০টি চিতাবাঘ। গান্ধী সাগর বাঁধে চিতাবাঘের জন্য তারের বেড়া বসানোর কাজ চলছে দ্রুত গতিতে।
ডিসেম্বরে দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে ১০টি চিতাবাঘ আনা হবে, কিন্তু কুনোর পরিবর্তে এই চিতাবাঘগুলিকে এখন সরাসরি মন্দসৌর-নিমুচ জেলার গান্ধী সাগর বন্যপ্রাণী অভয়ারণ্যে পাঠানো হবে। কয়েক মাস ধরেই এখানে প্রস্তুতি চলছে পুরোদমে। প্রায় ১৭ কোটি টাকা ব্যয়ে তারের বেড়া বসানোর কাজ এবং ঘের তৈরির কাজ চলছে।
চিতা স্টিয়ারিং কমিটির প্রধান ডাঃ রাজেশ গোপাল, দ্য সানডে এক্সপ্রেসকে বলেন, “এটা সময় লাগবে কিন্তু এলাকাটি খুবই আশাব্যঞ্জক। এটি দেখতে অনেকটা মাসাই মারা (কেনিয়াতে) এর মতো। একটি পাথুরে এলাকা, অগভীর মাটি… ঠিক পূর্ব আফ্রিকার মতো। তবে পর্যাপ্ত শিকার না হলে আমরা তাড়াহুড়ো করতে পারি না।
কুনোতে বর্তমানে ১৫ চিতা রয়েছে। মার্চ পর্যন্ত ৬টি চিতার মৃত্যু হয়েছে। আদ্র আবহাওয়ায় রেডিও কলার থেকে সৃষ্টি হওয়া ক্ষতের কারণেই চিতাদের মৃত্যু হয়েছে দাবি করেন নামিবিয়ার একদল বিশেষজ্ঞ। যদিও পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রক তা অস্বীকার করে।ব ন্যপ্রাণী আধিকারিকরা গান্ধী সাগর অভয়ারণ্য ছাড়াও নৌরাদেহির মতো অন্যান্য স্থানগুলিও খতিয়ে দেখছেন। কুনোর কর্মকর্তারা চিতা সাফারি কর্মসূচি প্রণয়নের দিকে মনোনিবেশ করছেন।
কুনো ডিরেক্টর উত্তম শর্মা বলেন, "আমরা আশা করি এটি কমপক্ষে চালু হতে বছর দুয়েক সময় লাগবে। বর্তমানে একটি পরিকল্পনার পর্যায়ে রয়েছে"। কুনো ডিভিশনাল ফরেস্ট অফিসার (ডিএফও) প্রকাশ কুমার বলেছেন যে এখন থেকে নয়জনের একটি দল প্রতিটি চিতাকে ট্র্যাক করবেন এবং অত্যাধুনিক দূরবীণ ও ক্যামেরা দিয়ে সজ্জিত থাকবে গোটা এলাকা। গত বছর কুনো জাতীয় উদ্যানে স্থানান্তরিত নামিবিয়া এবং দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে ২০ টি চিতার মধ্যে মার্চ থেকে ছয়টি মারা গেছে।