নিখুঁত ছকে শ্রদ্ধার দেহ লোপাট করেছিল আফতাব, সরেজমিনে তদন্তের পর তাজ্জব হয়ে যায় পুলিশও। গত বছর শ্রদ্ধা ওয়ালকার (২৭) হত্যা মামলা নাড়িয়ে দেয় গোটা দেশকে। আফতাবের বিরুদ্ধে অভিযোগ ১৮ মে মেহরৌলির ফ্ল্যাটে লিভ-ইন পার্টনার শ্রদ্ধা ওয়াকারকে গলাটিপে শ্বাসরোধ করে খুনের পর দেহটি ৩৫ টুকরো করেছিল। সেই টুকরোগুলো ফ্রিজে রেখে পরের তিন মাস ধরে ছড়িয়ে দিয়েছিল ছত্তরপুর-সহ দিল্লির বিভিন্ন জায়গায়।
দিল্লির মেহরৌলির লিভ-ইন-পার্টনার শ্রদ্ধা ওয়াকারকে খুন করে তার মৃতদেহ টুকরো টুকরো করা অভিযুক্ত আফতাব পুনাওয়ালা সম্পর্কে বিস্ফোরক তথ্য সামনে এসেছে। শ্রদ্ধা ওয়াকারকে হত্যার আগেও আফতাব তার সামনে তার ঘৃণ্য পরিকল্পনার কথা জানিয়েছিলেন। ২০২০ সালেই সঙ্গী আফতাবের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছিলেন শ্রদ্ধা। পুলিশের কাছে দায়ের করা অভিযোগে, শ্রদ্ধা জানিয়েছিলেন যে আফতাব তাকে টুকরো টুকরো করার হুমকি দিয়েছিল এবং তাকে প্রচুর মারধর করা হত। এক বছর পর, মুম্বইয়ে ওয়াকালরের পরিবার বলছে, তারা এখন কয়েক মাস ধরে আদালত বা পুলিশের কাছ থেকে কোন আপডেট পায়নি।
শ্রদ্ধার বাবা বিকাশ ওয়ালকার সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, “আমি তার দেহাবশেষ পাওয়ার জন্য অনেক চেষ্টা করেছিলাম কিন্তু পুলিশ আমাদের কিছুই দেয়নি...মনে হচ্ছে মামলাটি ঠান্ডা ঘরে চলে গিয়েছে।...সমস্ত প্রমাণ ইঙ্গিত করে মেয়ের খুনের জন্য আফতাব (পুনাওয়ালা) দায়ি”। বিকাশের অভিযোগ, মামলার কোনও অগ্রগতি সম্পর্কে তিনি গত ২-৩ মাস পুলিশ বা আদালত থেকে কোন ফোন পাননি।
মামলা প্রসঙ্গে এক ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তা বলেছেন, তদন্ত সম্পূর্ণ হয়েছে এবং চার্জশিট পেশ করা হয়েছে"আদালত এখন বিবৃতি রেকর্ড করছে... আমাদের কাছে প্রয়োজনীয় সব প্রমাণ আছে," । বিকাশের মনে আছে পুনাওয়ালার সঙ্গে তার প্রথম সাক্ষাত – গত বছর থানায়। তিনি বলেন, “আমি তাকে আমার মেয়ের কথা জিজ্ঞেস করেছিলাম। তিনি আমার দিকে তাকিয়ে বললেন, 'সে আর নেই'। তারপর সে পুলিশকে বলে যে সে কিভাবে আমার মেয়েকে মেরেছে… আমি সেখানে দাঁড়িয়ে সেই নৃশংস বিবরণ শুনছিলাম”।
দিল্লি পুলিশ জানিয়েছে যে তারা মামলার সঙ্গে সম্পর্কিত নথি, অস্ত্র, হাড় এবং অন্যান্য প্রমাণের ইতিমধ্যেই বাজেয়াপ্ত করেছে। ওয়াকারের নমুনার সঙ্গে অন্তত ১৭-১৯টি হাড় মিলেছে।