/indian-express-bangla/media/post_attachments/wp-content/uploads/2022/10/karnatak-protest.jpg)
'লাভ জিহাদ'-এর প্রতিবাদে পথে হিন্দুত্ববাদীরা।
বিজেপির লাভ জিহাদ রোখার এজেন্ডা হিসেবে কর্ণাটকে চালু হয়েছে ধর্মীয় স্বাধীনতার অধিকার রক্ষা আইন, ২০২২। সেই আইনে এবার পড়ে গেলেন বছর ২২-এর সঈদ মুহিন। উত্তর বেঙ্গালুরুর এই যুবকের বিরুদ্ধে অভিযোগ, প্রতিবেশী খুশবু যাদবের সঙ্গে প্রেমের টানে ঘর ছেড়েছিলেন। তাঁকে বিয়ে করে ইসলাম সম্প্রদায়ভুক্ত করেছেন মুহিন।
পুলিশ ওই যুবককে গ্রেফতার করেছে। তাঁর বিরুদ্ধে দুটি মামলা দায়ের হয়েছে। নতুন আইনে মুহিনের বিরুদ্ধে প্রথম অভিযোগটি ৮ অক্টোবর যশবন্তপুর থানায় দায়ের হয়েছিল। তার ঠিক সাত দিন আগেই ৩০ সেপ্টেম্বর, ধর্মান্তরণ রোধে এই নয়া আইন লাগুর বিজ্ঞপ্তি জারি হয়েছিল কর্ণাটকে। সবমিলিয়ে দুটো মামলা। একটা অপহরণের সন্দেহ। আর, অন্যটা ধর্মান্তরণ বিরোধী আইন।
অপহৃত খুশবু যাদবের মা অভিযোগ দায়ের করেছিল। তারপরই ধর্মান্তরণ রোধের আইনে অভিযোগ দায়ের হয়েছে বলে জানিয়েছেন বেঙ্গালুরু উত্তরের ডিসিপি বিনায়ক পাটিল। খুশবু অবশ্য প্রাপ্তবয়স্কা, ১৮ বছর বয়স। যশবন্তপুরের বিকে নগরে খুশবু আর মুহিন প্রতিবেশী। ছ'মাস ধরে তাঁরা প্রেম করছিলেন।
মুহিন এলাকার মাংসের দোকানে কাজ করেন। আর, খুশবুর বাবা চিত্রশিল্পী। উত্তরপ্রদেশ থেকে পরিবার নিয়ে এসে কর্ণাটকে থাকছেন। চার ভাইবোনের অন্যতম খুশবু স্কুলেই লেখাপড়ায় ইতি টেনেছিল। ইদানিং বাড়িতেই থাকছিল। মেয়ে বাড়ি থেকে পালানোর পর ৬ অক্টোবর খুশবুর মা জ্ঞান্তিদেবী যাদব পুলিশে নিখোঁজ অভিযোগ দায়ের করেছিলেন। তাতে অভিযোগ করেছিলেন, মেয়ে হয়তো মুহিনের সঙ্গে পালিয়েছে।
আরও পড়ুন- পুরসভা-পুলিশকে না-বলে একচুলও কাজ হবে না, মেট্রোকর্তাদের সোজা জানালেন ফিরহাদ
তারপর, ৮ অক্টোবর মুহিন ও খুশবু ফিরে এসে পুলিশকে জানায়, তারা বিয়ে করেছে। জ্ঞান্তিদেবী তখন কর্ণাটকের নতুন আইন অনুযায়ী তাঁর দ্বিতীয় অভিযোগটি জানান। নতুন অভিযোগপত্র অনুযায়ী, খুশবুকে ৫ অক্টোবর অন্ধ্রপ্রদেশের পেনুকোন্ডার এক দরগায় নিয়ে গিয়েছিল মুহিন। সেখানে তাঁকে ধর্মান্তরিত হতে বলে। দরগায় এক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে খুশবু মুসলিম ধর্ম নেয়। খুশবুকে এরপর বিয়ে না-করেই মুহিন বেঙ্গালুরুতে নিয়ে আসে। এমনটাই অভিযোগ জ্ঞান্তিদেবীর।
অভিযোগপত্রে জ্ঞান্তিদেবী জানিয়েছেন, তাঁর মেয়ে কিছু বুঝতে না-পেরেই পালিয়ে গিয়েছিল। তাই তাঁকে যাঁরা পালাতে সাহায্য করেছিল, মুহিন-সহ তাঁদের সকলের বিরুদ্ধেই ব্যবস্থা নেওয়া হোক। একইসঙ্গে, অভিযোগপত্রে তিনি জানিয়েছেন, নতুন আইন অনুযায়ী, বিয়ের জন্য ধর্মান্তরিত করতে জেলা প্রশাসনের কাছে বিজ্ঞপ্তি পেশ করা দরকার। কিন্তু, তাঁর মেয়েকে সেই আইন না-মেনেই ধর্মান্তরিত করা হয়েছে।
Read full story in English