গ্রাহক হেনস্থার দায়ে শ্রীঘরে ই-কমার্স ফুড বিপণির এক ডেলিভারি। পেশায় মডেল হিতেশা চন্দ্রানীর অভিযোগের ভিত্তিতে বেঙ্গালুরু পুলিশ অভিযুক্ত কামরাজকে গ্রেফতার করেছে। যদিও পুলিশি জেরায় কামরাজ বলেছেন, আত্মরক্ষার্থে তিনি ওই তরুণীকে ধাক্কা মেরেছেন। ঠিক কী হয়েছে?
সম্প্রতি হিতেশার একটি ভিডিও ট্যুইটারে ভাইরাল হয়েছে। তাতে ওই তরুণী বলছেন, ‘দেখুন কীভাবে আমাকে ধাক্কা মেরে ফেলে রক্তাক্ত করে পালিয়েছে জ্যোমেটোর এক ডেলিভারি বয়। অর্ডার আসতে দেরি হওয়ায় আমি কাস্টমার কেয়ারের সঙ্গে কথা বলছিলাম। তখনই আমাকে মেরে পালিয়ে যায় ওই যুবক।‘ ভাইরাল ভিডিওতে তাঁর নাক থেকে রক্ত বেরোতেও দেখা গিয়েছে। হিতেশার ট্যুইটারে সেই ভিডিও পোস্ট করে পৃথক ভাবে বেঙ্গালুরু সিটি পুলিশ আর ওই ই-কমার্স ফুড বিপণিকে ট্যাগ করে দিয়েছেন। পড়ে স্থানীয় থানায় গিয়ে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন ওই তরুণী মডেল। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে গ্রেফতার করা হয় কামরাজকে।
চন্দ্রানী জানান, খাওয়ার আসতে দেরি হওয়ায় আমি কাস্টমার কেয়ারে অভিযোগ দায়ের করি। এবং তাদের বলি হয় অর্ডার বাতিল করুন নয়তো ফ্রি সার্ভিস দিন। সেই আক্রোশ থেকেই আমার ওপর হামলা।
এদিকে, সেই অভিযোগের প্রেক্ষিতে স্থানীয় থানাকে সহযোগিতার আশ্বাস দিয়ে পাল্টা ট্যুইট করেছে জ্যোম্যাটো। তারা বলেছে, গ্রাহক সন্তুষ্টি আমাদের প্রাধান্য। ভবিষ্যতে এই ধরনের ঘটনা এরিয়ে চলতে ব্যবস্থা নেবে সংস্থা। এদিকে পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে বয়ানে অভিযুক্ত বলেছেন, তিনি খাওয়ার পৌঁছে দিতেই নিগৃহীতা টাকা ফেরত চান। তখন অভিযুক্ত বলেছেন টাকা ফেরত কখনই সম্ভব নয়। এতে আরও উত্তেজিত হয়ে সেই তরুণী খাওয়ার নিতে অস্বীকার করেন। এমনকি, কটু কথাও বলতে শুরু করেছিলেন। এভাবেই বাকবিতণ্ডার মাঝে হঠাৎ করে সেই নিগৃহীতা তাঁকে জুতো দিয়ে মারতে গেলে কামরাজ ‘আত্মরক্ষায়’ তাঁকে ধাক্কা মারে।