/indian-express-bangla/media/post_attachments/wp-content/uploads/2018/08/cats-2.jpg)
মজফফর পুরের ঘটনার জেরে ইস্তফা দিলেন মঞ্জু বর্মা।
দেশের বিভিন্ন হোমে আশ্রিত ৩০,০০০ এর বেশি শিশুদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে তাদের আধার কার্ডের সঙ্গে ট্র্যাক চাইল্ড (Track Child) নামক পোর্টালকে সংযুক্ত করা হয়েছে। এই পদক্ষেপের পেছনে মূল উদ্দেশ্য হলো হোমে বসবাসকারী শিশুদের সম্পর্কে ডেটাবেস আরও পোক্ত করা। উল্লেখ্য, সম্প্রতি বিভিন্ন শেল্টার হোম থেকে শিশুদের নিখোঁজ হয়ে যাওয়ার একাধিক ঘটনায় সারা দেশে শোরগোল পড়ে গিয়েছে।
ট্র্যাক চাইল্ড মূলত দেশের বিভিন্ন জায়গায় নিখোঁজ হয়ে যাওয়া শিশুদের খবরাখবর রাখার প্রধান ডেটাবেস। এই পোর্টালের কাজ হলো শেল্টার হোম, পুলিশ এবং রাজ্য সরকারগুলির মধ্যে সমন্বয়ের কাজে সহযোগিতা করা। এ পর্যন্ত ৩০,৮৩৫ টি আধার কার্ড নম্বর যুক্ত করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন জনৈক মহিলা এবং শিশু কল্যাণ মন্ত্রকের আধিকারিক। সরকারি পরিসংখ্যান অনুযায়ী, দেশের ৯,০০০-এর বেশি হোমে ২,৬১,৫৬৬ জন শিশু রয়েছে।
আরও পড়ুন: মজফফরপুর হোমের ঘটনায় ইস্তফা বিহারের সমাজকল্যান মন্ত্রীর
ওই আধিকারিক আরও জানিয়েছেন, আধার নম্বর নথিভুক্ত করার প্রক্রিয়া চলাকালীন বেশ কয়েকটি শিশুর বাবা মায়ের সন্ধান পাওয়া গিয়েছে, কারণ ওই শিশুদের আগে থেকেই আধার কার্ড ছিল, ঠিকানা সমেত।
আশা রয়েছে, আধারের সঙ্গে ট্র্যাক চাইল্ডকে যুক্ত করে সেইসব শিশুদেরও সন্ধান পাওয়া যাবে, যারা হোম থেকে নিখোঁজ হয়ে অন্য কোথাও নাম লেখানোর চেষ্টা করে।
ওই আধিকারিক আরও জানিয়েছেন, "আমাদের মন্ত্রকের তরফ থেকে সংশ্লিষ্ট সমস্ত বিভাগকে অনুরোধ করা হয়েছে যেন হোমে থাকা সমস্ত শিশুর আধার নম্বর তালিকাভুক্ত করা হয়। বিভিন্ন রাজ্য সরকারও প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিচ্ছে বলে আমাদের জানিয়েছে। ট্র্যাক চাইল্ড পোর্টালে আধার কার্ডের সমস্ত তথ্য জমা দেওয়ার ব্যবস্থা রয়েছে।"
এই প্রসঙ্গে উল্লেখ্য, সম্প্রতি উত্তর প্রদেশের দেওরিয়াতে একটি হোম থেকে ১৮ জন নাবালিকার নিখোঁজ হয়ে যাওয়ার পাশাপাশি হোমে নাবালিকাদের ওপর যৌন নির্যাতনের একাধিক ঘটনাও প্রকাশ্যে আসে।
ন্যাশনাল ক্রাইম রেকর্ডস ব্যুরোর পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ২০১৪, ২০১৫, এবং ২০১৬ সালে সারা দেশে যথাক্রমে ৬৮,৮৭৪, ৬০,৪৪৩, এবং ৬৩,৪০৭ জন শিশুর নিখোঁজ হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।