সুপ্রিম কোর্টের পাঁচ সদস্যের বেঞ্চ াধারকে সাংবিধানিক ভাবে বৈধ বলে ঘোষণা করে দিল। তবে এ ব্যাপারে সব বিচারপতি একমত হতে পারেননি। আধারের সাংবিধানিক বৈধতা নিয়ে আপত্তি জানিয়েছেন বিচারপতি চন্দ্রচূড়। প্রধান বিচারপতি দীপক মিশ্র এবং বাকি তিন বিচাপতি, এ কে সিক্রি, অশোক ভূষণ, এ এম খানউইলকর আধারের সাংবিধানিক বৈধতা নিয়ে তোলা প্রশ্ন নাকচ করে দিয়েছেন।
তবে আধার এখন আর সর্বত্র জরুরি নয়। প্রাইভেট ব্যাঙ্ক, মোবাইল ফোনের কানেকশন, স্কুলে ভর্তি এসবের জন্য় আধার লাগবে না। কোনও প্রাইভেট কোম্পানির সঙ্গে আধার তথ্য শেয়ার করা যাবে না। মোবাইল কোম্পানিগুলির কাছে আধাররে যে তথ্য ইতিমধ্যেই রয়েছে, তা মুছে ফেলতে হবে।
আধার সুপ্রিম কোর্টের রায় Updates:
2.39 PM: কংগ্রেসের তরফ থেকে কপিল সিব্বল জানিয়েছেন, আধার বিলকে অর্থ বিল হিসেবে পাশ করানো যায় কি না তা বিবেচনা করে দেখার জন্য় তাঁরা এবার সুপ্রিম কোর্টের বৃহত্তর বেঞ্চের কাছে আবেদন করবেন।
By striking down Section 57 of Aadhaar Act, Supreme Court has firmly put an end to the mass surveillance exercise being carried out under the guise of #Aadhaar by the Central Government and the grotesque distortion of an idea conceived by the UPA: Kapil Sibal, Congress pic.twitter.com/n5TXETY2gT
— ANI (@ANI) September 26, 2018
1.58 PM: আবেদনকারীদের পক্ষে আইনজীবী অরবিন্দ দাতার বলেছেন, মেটা ডেটা যে প্রাইভেট কর্পোরেশনের কাছে আর দেওয়া যাবে না, এই সিদ্ধান্তে তিনি অত্যন্ত খুশি। যে তথ্যই রক্ষিত রয়েছে তা ৬ মাস পর মুছে দিতে হবে। তিনি একইসঙ্গে এও বলেছেন যে, পুরো রায় সম্পূর্ণ বোঝার জন্য ভালো করে পড়তে হবে।
1.38 PM: অ্যাটর্নি জেনারেল কে কে বেণুগোপাল বলেছেন, এই রায়ে তিনি দারুণ খুশি। একে ল্যান্ডমার্ক জাজমেন্ট বলেও তিনি উল্লেখ করেছেন বলে জানিয়েছে সংবাদসংস্থা এ এন আই।
1.20 PM: কংগ্রেসের মুখপাত্র তথা আইনজীবী অভিষেক মনু সাংভি বলেছেন এই রায় বিজেপির পক্ষে বিশাল আঘাত। তিনি বলেন, এই রায় অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বিজেপি মুখপাত্র সম্বিৎ পাত্রও এই রায়কে স্বাগত জানিয়েছেন।
1.13 PM: আধার আইনের ৫৭ ধারা বাতিল করে দেওয়ার সুপ্রিম কোর্টের সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানাল কংগ্রেস। বেসরকারি সংস্থা আর চাইতে পারবে না আধার।
We welcome the Supreme Court's decision to strike down Section 57 of the Aadhaar Act. Private entities are no longer allowed to use Aadhaar for verification purposes. #AadhaarVerdict
— Congress (@INCIndia) September 26, 2018
1.04 PM: আধার নিয়ে কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত
#AadhaarVerdict — key points
Welfare schemes ✔️
I-T returns ✔️
Linking to PAN card ✔️Banks accounts ✖️
SIM cards ✖️
Private companies ✖️
School admissions ✖️
NEET, UGC, CBSE ✖️https://t.co/Z2cZMEauxz— The Indian Express (@IndianExpress) September 26, 2018
12.43 PM: আধার কার্ড বৈধতা পেল আজকের শীর্ষ আদালতের রায়ে, তবে কারা নাগরিকের ব্যক্তিগত তথ্য চাইতে পারবে, সে নিয়ে প্রভূত নিয়ন্ত্রণের সিদ্ধান্ত।
12. 39 PM: আদালতের বাইরে আবেদনকারীদের আইনজীবী প্রশান্ত ভূষণ জানালেন, সর্বোচ্চ আদালত জানিয়েছে আধার আর বাধ্যতামূলক নয়।
12. 37 PM: আধারের পক্ষে রায় দিলেন বেঞ্চের চার বিচারপতি। বিচারপতি চন্দ্রচূড় তাঁর আপত্তির কথা জানালেন।
12.28 PM: বিচারপতি অশোক ভূষণ বললেন আধার গোপনীয়তা লঙ্ঘন করে না। তবে যে ভাবে বিল পাশ করা হয়েছে তা যথাযথ নয় বললেন তিনি।
12.18 PM: টেলিকম সংস্থাগুলির কাছে থাকা সমস্ত আধার নম্বর ডিলিট করে দিতে হবে বলে জানালেন বিচারপতি চন্দ্রচূড়।
12.14 PM: কয়েকটি জরুরি নির্দেশ
- বেসরকারি সংস্থা আধার চাইতে পারবে না।
- আধার কার্ড না থাকলে শিশুদের কোনও অধিকার থেকে বঞ্চিত করা যাবে না। ফলে স্কুলে ভর্তির জন্য আধার কার্ড দরকার নেই।
- প্যানের সঙ্গে আধার সংযুক্ত করাতে হবে, কিন্তু টেলিফোন কোম্পানি বা অন্য় কোনও কর্পোরেশনও আধার চাইতে পারবে না।
12.01 PM: আধার আইনের আওতায় কোনও ব্যক্তির মামলা করার অধিকার নেই, এই আইনকেও নাকচ করে দিল সুপ্রিম কোর্ট। এতদিন এই আইনের আওতায় মামলা করার অধিকার ছিল কেবলমাত্র UIDAI সংস্থা এবং তার আধিকারিকদের।
11.57 AM: যে পার্টি ক্ষমতায় আছে তারা রাজ্যসভায় সংখ্যাগরিষ্ঠ না হতেই পারে, তাই বলে রাজ্যসভাকে খাটো করা যায় না। এ বিলকে অসাংবিধানিক ভাবে পাশ করানো হয়েছে। - বললেন বিচারপতি চন্দ্রচূড়।
11.51 AM: অর্থ বিল নয় এমন কোনও বিলকে অর্থ বিল হিসেবে পাশ করানো সংবিধানের সঙ্গে জালিয়াতি, মন্তব্য করলেন বিচারপতি চন্দ্রচূড়। একটি সাধারণ বিলকে অর্থবিল হিসেবে ঘোষণা করার ফলে অধ্যক্ষ রাজ্যসভাকে খর্ব করেছেন, বললেন বিচারপতি চন্দ্রচূড়।
11.39 AM: মান অবস্থায় কোনও মেটাডেটা সংরক্ষণ করা যাবে না। যদি কারও ব্যক্তিগত তথ্য প্রকাশ করতে হয় তবে সে ব্যাপারে সেই ব্যক্তির বক্তব্য শুনতে হবে।
11.34 AM: স্কুলে ভর্তির জন্য় বাধ্যতামূলক নয় আধার। শিশুদের আধার এনরোলমেন্ট করানোর জন্য লাগবে বাবা-মা অথবা অভিভাবকের অনুমতি।
11.23 AM: বিচারপতি এ কে সিক্রি জানিয়ে দিলেন, কোনও প্রাইভেট সংস্থা আধার তথ্য জানতে চাইতে পারবে না। তিনি বলেছেন, এটা সম্পূর্ণ অসাংবিধানিক।
11.21 AM: আধারের অথেন্টিকেশনের জন্য যথেষ্ট প্রয়োজনীয় সুরক্ষা কবচ নেওয়া হয়েছে বলে মনে করে সুপ্রিম কোর্ট। ‘‘তবে আধার আইনের কিছু বিষয় আমরা নাকচ করছি। অথেন্টিকেশন ডেটা ৬ মাসের বেশি মজুত করে রাখা যাবে না। এখনকার আইনে ওই তথ্য ৫ বছর মজুত করে রাখার কথা রয়েছে। তা নাকচ করে দেওয়া হল।’’ জানালেন বিচারপতি এ কে সিক্রি।
11.15 AM: ২০১৭ সালের গোপনীয়তার অধিকার সম্পর্কিত রায়ে মানুষের সম্মানের বিষয়টির উপর জোর দেওয়া হয়েছিল। কিছু নিয়ম স্থির করার সময়ে কতগুলো আনুপাতিক বিষয় স্থির করতে হয়। বৃহত্তর জনস্বার্থের দিক থেকে দেখতে হবে।
.
11.09 AM: ‘‘আধারে প্রান্তিক সমাজ উপকৃত হবে। আধার থাকলে কোনও ডুপ্লিকেশনের সম্ভাবনা নেই। আধার প্রকল্পের বিরোধিতার মূল জায়গা এসেছে যে এর ফলে গোপনীয়তার অধিকার লঙ্ঘিত হবে।’’
11.02 AM: ‘‘আবেদনকারীরা আধারের উপর আক্রমণ হেনেছেন এই বলে যে তা সংবিধানের অধিকারের বিষয়টিকে চ্যালেঞ্জ জানায়, যার ফলে দেশ একটি নজরদারি রাষ্ট্রে পরিণত হবে।’’
11.00 AM: বিচারপতি এ কে সিক্রি জানালেন, প্রধান বিচারপতি দীপক মিশ্র, বিচারপতি এ এম খানউইলকর এবং তাঁর নিজের পক্ষের রায় তিনিই লিখেছেন। বিচারপতি সিক্রি পড়া শুরু করেছেন। তিনি বলছেন, ‘‘আধার সাম্প্রতিক বছরগুলির মধ্যে সবচেয়ে বেশি আলোচিত।’’
10.51 AM: যে কোনও মুহূর্তে ঘোষিত হতে পারে আধার রায়। রায় পড়ে শোনাবেন বিচারপতি এ কে সিক্রি, বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড় এবং বিচারপতি অশোক ভূষণ।
10.50 AM UIDAI-এর প্রাক্তন চেয়ারপার্সন নন্দন নিলেকানি এ বছরের গোড়াতেই অভিযোগ করেছিলেন, আধারের দুর্নাম করার জন্য প্রচার চালানো হচ্ছে।
10.43 AM: আধারকে চ্যালেঞ্জ করে যে সব পিটিশন জমা পড়েছে, সেইসব আবেদনকারীদের হয়ে সওয়াল করছেন বর্ষীয়ান আইনজীবীরা। তাঁদের মধ্যে রয়েছেন শ্যাম দিওয়ান, কপিল সিব্বল, পি চিদাম্বরম, অরবিন্দ দাতার, কে ভি বিশ্বনাথ, সাজন পুভায়া এবং আরও অনেকে। আবেদনকারীদের মধ্যে প্রাক্তন বিচারপতি পুট্টাস্বামী তো রয়েছেনই, তা ছাড়াও রয়েছেন ম্যাগসেসে পুরস্কার প্রাপ্ত শান্তা সিনহা, নারীবাদী গবেষক কল্যাণী সেন মেনন, সমাজকর্মী অরুণা রয়, নিখিল দে, নচিকেতা উদুপা এবং সিপিআই নেতা বিনয় ভীষ্ম।
10.38 AM: প্রথম আধার কার্ড পেয়েছিলেন রাজনা সোনওয়ানে। সেটা ছিল ২০১০ সালের ২৯ সেপ্টে ম্বর। তাঁর হাতে আধার কার্ড তুলে দিয়েছিলেন ইউপিএ চেয়ারপার্সন সোনিয়া গান্ধী। কার্ড হাতে নিয়ে সোনওয়ানে বলেছিলেন, আমি যেখানেই যাব এ কার্ড হাতের কাছে রাখব।
10.24 AM: বেলা সাড়ে দশটা নাগাদ এই মামলার রায়দান পর্ব শুরু হবে বলে আশা করা হচ্ছে। আধারকে চ্যালেঞ্জ করে প্রথম পিটিশন ফাইল করেছিলেন কর্ণাটক হাইকোর্টের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি কে এস পুট্টাস্বামী। সেটা ছিল ২০১২ সাল।