আধার কি সাংবিধানিক? এ প্রশ্নের মীমাংসা হয়ে যাবে আগামিকাল। বুধবার আধারের সাংবিধানিক বৈধতা নিয়ে আদেশ দেবে সপ্রিম কোর্ট। চার মাস সময় ধরে চলেছিল এ মামলার শুনানি। শুনানি হয়েছিল মোট ৩৮ দিন। গত মে মায়ে প্রধান বিচারপতি দীপক মিশ্রের নেতৃত্বাধীন পাঁচ সদস্যের বেঞ্চ এ নিয়ে তাদের রায়দান স্থগিত রেখেছিল। ২০১৬ সালের আধার আইনের সাংবিধানিক বৈধতাকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে এক গুচ্ছ আবেদন জমা পড়েছিল শীর্ষ আদালতে।
১২ সংখ্যার বায়োমেট্রিক নম্বর বিভিন্ন সরকারি পরিষেবার সঙ্গে যুক্ত করার প্রক্রিয়াকে বিভিন্ন মহল থেকে সমালোচনা করা হয়েছে। সমালোচকদের বক্তব্য এই গোটা বিষয়টি গোপনীয়তার অধিকার লঙ্ঘনকারী। এ বছরের মার্চ মাসে শীর্ষ আদালত জানিয়েছিল ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট ও মোবাইল ফোনের সঙ্গে আধার সংযোগের প্রক্রিয়া যতদিন না পর্যন্ত না এ সংক্রান্ত অন্তিম রায় দেওয়া হয়, ততদিন অবধি চলবে।
শীর্ষ আদালত একই সঙ্গে যেমন সিদ্ধান্ত নেবে আধারের সাংবিধানিক বৈধতা নিয়ে, তেমনই কল্যাণমূলক প্রকল্পের সুবিধাদানের জন্য আধারকে বাধ্যতামূলক করা যাবে কি না সে সম্পর্কেও সিদ্ধান্ত ঘোষণা করবে।
আরও পড়ুন, আধার থেকে অযোধ্যা – সুপ্রিম কোর্টে বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ মামলার রায় সম্ভবত এ সপ্তাহেই
ইতিমধ্যে সরকার একগুচ্ছ পরিষেবা এবং কল্যাণমূলক প্রকল্পের জন্য আধার বাধ্যতামূলক বলে ঘোষণা করেছে, যার মধ্যে রয়েছে প্যান কার্ড, ব্যাঙ্ক অ্যাকউন্ট, মোবাইল পরিষেবা এবং এমনকি ড্রাইভিং লাইসেন্সও।
আবেদনকারীদের পক্ষ থেকে সওয়াল করা হয়েছে- আঙুলের ছাপ, চোখের মণি স্ক্য়ানের মত বিভিন্ন বিষয়সহ বিপুল পরিমাণ বায়োমেট্রিক তথ্য যদি বাধ্যতামূলক করা হয় তবে তা ফাঁস হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে এবং তেমনটা যে ইতিমধ্যে ঘটেছে, তার উদাহরণও আদালতে পেশ করা হয়েছে।