বুধবার সুপ্রিম কোর্টের পাঁচ সদস্যের বেঞ্চ আধার কার্ডকে সাংবিধানিক ভাবে বৈধ বলে ঘোষণা করেছে। জানানো হয়েছে, এখন থেকে আর সর্বত্র জরুরি নয় আধার। প্রাইভেট ব্যাঙ্ক, মোবাইল ফোনের কানেকশন, স্কুলে ভর্তি এসবের জন্যও আধার লাগবে না। কোনও প্রাইভেট কোম্পানির সঙ্গে আধার তথ্য শেয়ার করা যাবে না। মোবাইল কোম্পানিগুলির কাছে আধাররে যে তথ্য ইতিমধ্যেই রয়েছে, তা মুছে ফেলতে হবে। যদিও এদিনের রায়ে মতবিরোধ রয়েছে। এ ব্যাপারে একমত হতে পারেননি সমস্ত বিচারপতি। আধারের সাংবিধানিক বৈধতা নিয়ে আপত্তি জানিয়েছেন বিচারপতি চন্দ্রচূড়। প্রধান বিচারপতি দীপক মিশ্র এবং বাকি তিন বিচারপতি এ কে সিক্রি, অশোক ভূষণ, এ এম খানউইলকর আধারের সাংবিধানিক বৈধতা নিয়ে তোলা প্রশ্ন নাকচ করে দিয়েছেন। বিচারপতি চন্দ্রচূড় তাঁর রায়ে বিচারপতি সিক্রির সঙ্গে দ্বিমত পোষণ করে বলেন, আধার বিলকে অর্থ বিল হিসেবে পাশ করানো এক ধরনের জালিয়াতি।
আরও পড়ুন: ব্যভিচার আইন সেকেলে, অসাংবিধানিক: সুপ্রিম কোর্ট
তবে সাধারণ মানুষের কাছে একেবারেই স্পষ্ট হয়েনি আধার সংক্রান্ত সুপ্রিম কোর্টের রায়। রয়েগিয়েছে একাধিক দ্বন্দ। আধার লিঙ্কের বিষয় নিয়েও রীতিমতো ঘেঁটে গিয়েছেন তাঁরা। প্যান কার্ডের কাজ এবং আধারের ব্যবহার কার্যত ঘেঁটে ঘ করেছেন তাঁরা। আর তারই বহিঃপ্রকাশ হয়েছে স্যোশাল সাইটে। একাধিক মিম বানিয়েছেন নেটিজেনরা।