মেহরৌলির চত্তারপুর পাহাড়ি এলাকার এক গলিতে, দিল্লি শহরেরই অন্য জায়গার মত একটি সবুজ অ্যাপার্টমেন্ট আছে। অভিযোগ যে সেই বিল্ডিংয়েই ১৮ মে বছর ২৭-এর লিভ-ইন পার্টনার শ্রদ্ধা ওয়াকারকে হত্যা করেছিল আফতাব পুনাওয়ালা(২৮)। পুলিশকে জেরায় আফতাব জানিয়েছে, শ্রদ্ধার দেহ সে মেহরৌলির জঙ্গলে ফেলেছিল। এই হত্যাকাণ্ড নাড়িয়ে দেয় সকলকেই। গতকাল শুনানি চলাকালীন শ্রদ্ধার বাবা বিকাশ মদন ওয়ালকার আদালতে জানিয়েছেন, অভিযুক্ত আফতাব আমিন পুনাওয়ালা তাঁর কাছে কাছে স্বীকার করেছেন যে তিনি তাদের অ্যাপার্টমেন্টের টয়লেটে শ্রদ্ধার দেহ টুকরো টুকরো করে ফেলেন এবং ধীরে ধীরে চত্তারপুর পাহাড়ি এলাকায় জঙ্গলে দেহাবশেষ ফেলে দেন।উল্লেখ্য ৫ অগাস্টই ছিল শ্রদ্ধার জন্মদিন।
অত্যন্ত চাঞ্চল্যকর এই খুনের মামলায় সাক্ষীদের সাক্ষ্য গ্রহণ করে দিল্লির আদালত। প্রায় ৬ ঘণ্টা ধরে চলা শনিবারের বিশেষ শুনানিতে, আদালতে মৃত শ্রদ্ধার শরীরের অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ সংরক্ষণের জন্য ব্যবহৃত ফ্রিজ এবং কাঠের টুকরো আদালতে পেশ করা হয় সাক্ষ্য হিসাবে। একই সঙ্গে আফতাস-শ্রদ্ধার বেশ কিছু ভিডিও এবং অডিও ক্লিপ আদালতে চালানো হয়। বিকাশ ওয়ালকার দাবি করেছেন যে আফতাব ১৮ মে সন্ধ্যা ৬ টা নাগাদ শ্রদ্ধাকে খুনের কথা স্বীকার করেছে। আদালত সোমবার এই বিষয়ে পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য করেছে।
ঘটনায় বিবরণ দিতে গিয়ে শ্রদ্ধার বাবা এদিন আদালতে জানিয়েছেন, “আফতাব পুনাওয়ালা আমার মেয়েকে (ছাতারপুরে তাদের ভাড়া বাড়ি) যে স্থানে খুন করেছিল সেখানে নিয়ে যেতে পুলিশআমাকে গাইড করেছিল। আফতাব স্বীকার আমার মেয়েকে বাথরুমে খুন করা হয়, পরবর্তীতে তার শরীরের টুকরোগুলো ব্যাগে ভরে লিভিং রুমের ফ্রিজে রেখে দেন আফতাব। বিকাশ ওয়ালকারের সাক্ষ্য অনুসারে, "নতুন বান্ধবী"র ব্যাগ দেখে সন্দেহ হওয়ার পর থেকে আফতাব সেই ব্যাগ ফ্রিজ থেকে সরিয়ে রান্নাঘরের একটি কাঠের শেলফে রেখেছিল”।