হাড়হিম ঠান্ডা, জেলেই কাবু শ্রদ্ধা খুনের মুল অভিযুক্ত আফতাব। দিল্লিতে পারদ কমতেই তিহার জেলে বন্দী শ্রদ্ধা খুনের মুল অভিযুক্ত আফতাব পুনাওয়ালা বেশ কাহিল হয়ে পড়েছেন। তিহার জেল কতৃপক্ষের কাছে ঠাণ্ডার জামাকাপড় কেনার জন্য নিজের ক্রেডিট এবং ডেবিট কার্ড চেয়ে বসলেন তিনি। শুধু তাই নয় এর জন্য তিনি আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন। জামাকাপড় কেনার টাকা তার কাছে নেই বলে আদালতে আইনজীবীর মাধ্যমে জানান তিনি।
আফতাব তার আবেদনে বলেছেন, "এমন শীতে তার প্রয়োজনীয় গরম কাপড় এবং নিত্যদিনের জিনিস কেনার জন্য তার কিছু টাকার প্রয়োজন। তাই তার ক্রেডিট এবং ডেবিট কার্ড তাকে দেওয়ার অনুমতি দেওয়া হোক" আফতাবের আইনজীবী আদালতে বলেন, "তার মক্কেল ২০২২ সালের ০৯ নভেম্বর থেকে পুলিশ হেফাজতে রয়েছে। তার কাছে কোন শীতের পোশাক নেই। প্রবল ঠান্ডার কারণে আফতাব বেশ কাহিল হয়ে পড়েছেন"
বিচারবিভাগীয় হেফাজতের মেয়াদ আরও ৪ দিন বাড়ানো হয়েছে
আইনজীবী বলেন, "আফতাবকে শীতের কাপড় কিনতে হবে। তার মক্কেলের কাছে টাকাপয়সা নেই। কিন্তু আফতাবের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে কিছু টাকা আছে কিন্তু ডেবিট এবং ক্রেডিট কার্ড পুলিশের হেফাজতে থাকায় তিনি গরম জামাকাপড় কিনতে পারছেন না। জামাকাপড় ও প্রয়োজনীয় জিনিস কিনতে ব্যাঙ্ক-এর কার্ড তার নিজের হেফাজতে থাকারও দাবি করা হয়েছে। এর আগে শুক্রবার (০৬ জানুয়ারি) তার বিচারবিভাগীয় হেফাজত আরও চার দিন বাড়িয়েছে আদালত। আগামী ১০ জানুয়ারি আদালতে তাকে হাজির করানো হবে।
আরও পড়ুন: < ‘আগামী সপ্তাহেই রাজ্যের আরও ১৫ জেলায় কেন্দ্রীয় দল’, হঁশিয়ারি শুভেন্দুর >
শ্রদ্ধার ডিএনএ রিপোর্ট এসেছে
অন্যদিকে, বুধবার (০৪ জানুয়ারি) শ্রদ্ধার ডিএনএ রিপোর্ট সামনে এসেছে। তাতে শ্রদ্ধার চুল ও হাড়ের নমুনা পরীক্ষার রিপোর্ট এসেছে। এসব নমুনা মিলেছে শ্রদ্ধার বাবা ও ভাইয়ের সঙ্গে। দিল্লি পুলিশের বিশেষ পুলিশ কমিশনার (আইন ও শৃঙ্খলা জোন-২) ডঃ সাগরপ্রীত হুডা বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। এখন ময়নাতদন্তের জন্য শ্রদ্ধার হাড়গোড় পরীক্ষার জন্য পাঠাবে দিল্লি পুলিশ।
হত্যার পর লাশ ৩৫ টুকরো করা হয
আফতাবের বিরুদ্ধে তার লিভ-ইন পার্টনার শ্রদ্ধাকে হত্যা করে ৩৫টি টুকরো করে দেহাংশ লোপাটের অভিযোগ এনেছে শ্রদ্ধার বাবা। ১৮ মে রাতে এই নৃশংস হত্যাকাণ্ড ঘটে। অভিযুক্ত আফতাব ইতিমধ্যেই পুলিশি জেরায় তার অপরাধ স্বীকার করেছে। পুলিশ জানায়, অভিযুক্ত আফতাব প্রথমে শ্রদ্ধাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে। দীর্ঘদিন শ্রদ্ধার মৃতদেহ ফ্ল্যাটের একটি নতুন ফ্রিজে লুকিয়ে রাখেন। পরে তা লোপাট করতে দেহ৩৫টি টুকরো করে আফতাব।