রাজ্যসভার দুটি আসনের জন্য পঞ্জাবে প্রার্থী বেছে নিল আম আদমি পার্টি। দুই প্রার্থীই পদ্মশ্রী প্রাপক। একজন হলেন সন্ত বলবীর সিং সিনচেওয়াল। অন্যজন বিক্রমজিৎ সিং সাহনি। এর মধ্যে সন্ত বলবীর সিং সিনচেওয়াল একজন স্বঘোষিত ধর্মগুরু। তিনি অবশ্য সমাজসেবাকে অত্যন্ত গুরুত্ব দেন। বিশেষ করে পরিবেশ রক্ষার ওপর সবচেয়ে জোর দেন। পরিবেশ রক্ষার সঙ্গে নিজের দর্শনকে মিশিয়ে তিনি তুলে ধরেছেন। কপুরথালা এবং দাওবা এলাকায় তাঁর বহু অনুগামী রয়েছে। তাঁর সংগঠনের নাম নির্মল ডেরা। এর আগে বিজেপি তাঁকে রাজ্যসভার সদস্য করতে চেয়েছিল। কিন্তু, তিনি রাজি হননি।
আর, বিক্রমজিৎ সিং সাহনি হলেন কর্পোরেট ব্যক্তিত্ব। তিনি সান গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা। পাশাপাশি শিক্ষাবিদ ও দার্শনিক। ওয়ার্ল্ড পঞ্জাব অ্যাসোসিয়েশনের তিনি প্রেসিডেন্ট। গত বছর আফগানিস্তান থেকে ৫০০ জন হিন্দু ও শিখকে ফিরে আসতে সহযোগিতা করেছিলেন। যার জন্য খবরের শিরোনামেও এসেছিলেন সাহনি। তবে, আম আদমি পার্টির বাছাই করা এই প্রার্থীর তালিকায় খুশি নয় শিরোমণি অকালি দল।
এই ব্যাপারে অকালি দলের পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়েছে, আম আদমি পার্টি আসলে শিখ ধর্মকে অপমান করছেন। শিখ ধর্মে দশ গুরু বাদে অন্য কোনও গুরুর অস্তিত্ব নেই। সেখানে নির্মল ডেরা নামে সংগঠন চালিয়ে গুরু হয়ে বসেছেন বলবীর সিং সিনচেওয়াল। তাঁকে বেছে নিয়ে আম আদমি পার্টি এবার প্রমাণ করে দিল যে তাঁরা আসলে পঞ্জাবের মাটিতে অ-শিখ সম্প্রদায়ের লোকজনকেই গুরুত্ব দিতে চায়।
আরও পড়ুন- গোয়ায় বিজেপির বিধায়ক ২০ থেকে ৩০ হবে? বড় ইঙ্গিত দলের শীর্ষ নেতার
এর মধ্যেই ভগবন্ত মান সরকারের শিক্ষানীতি নিয়েও প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছে অকালি দল। ক্ষমতায় আসার সময় আম আদমি পার্টি প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল, তারা পঞ্জাবে শিক্ষাক্ষেত্রে দিল্লি মডেল চালু করবে। সরকার ক্ষমতায় আসার পর পঞ্জাবের শিক্ষামন্ত্রী দিল্লির স্কুলগুলো ঘুরেও দেখেছিলেন। কিন্তু, ২০২১ সালের ন্যাশনাল অ্যাচিভমেন্ট সার্ভেতে দেখা গিয়েছে, দিল্লিকেও ছাপিয়ে গিয়েছে পঞ্জাবের শিক্ষাব্যবস্থা। এরপরই, আপের প্রতিশ্রুতির গুরুত্ব নিয়েই প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছে অকালি দল।
Read full story in English