কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মীদের আগেই আরোগ্য সেতু অ্যাপ ডাউলোড করা বাধ্যতামূলক করা হয়েছিল। এবার বেসরকারি সংস্থায় কর্মরতদেরও এই অ্যাপ ব্যবহারের নির্দেশ দিল মোদী সরকার। ৪ মে থেকে দেশে লকডাউনের তৃতীয় দফা শুরু হবে। তবে, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক প্রকাশিত গাইডলাইনে এই পর্যায়ে আরও বেশ কয়েকটি ক্ষেত্রকে ছাড়ের অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। গাইডলাইনেই উল্লেখ, বেসরকার ক্ষেত্রে কর্মরতদের আরোগ্য সেতু অ্যাপ ডাউনলোড বাধ্যতামূলক। কাজে যোগদানকারীরা সবাই অ্যাপ ডাউনলোড করেছে কিনা তা নিশ্চিত করবেন সংস্থার প্রধান।
এছাড়াও, গাইডলাইনে বলা হয়েছে, কনটেনমেন্ট জোনে আরোগ্য সেতু অ্যাপের ব্যবহার ১০০ শতাংশ করতে হবে। স্থানীয় প্রশাসন বিষয়টি দেখভাল করবে। বিপর্যয় মোকাবিলা আইনের আওতায় জারি এই নির্দেশিকা লঙ্ঘন হলে সর্বাধিক ২ বছর পর্যন্ত হাজতবাস হতে পারে। কোনও ব্যক্তির কোভিড-১৯ আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি কতটা তার ইঙ্গিত আরোগ্য সেতু অ্যাপের মাধ্যমে পাওয়া যায়।
আরও পড়ুন- আরোগ্য সেতু অ্যাপ ডাউনলোড বাধ্যতামূলক, কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মীদের স্পষ্ট নির্দেশ
শুক্রবারের নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, সংস্থাগুলি বড়ধরনের মিটিং করতে পারবে না, স্থানীয় হাসপাতাল বা নার্সিংহোমের তালিকা রাখতে হবে, কর্মরত কোনও শ্রমিকের উপসর্গ ধরা পড়লে তাঁকে দ্রুত চেকাপের জন্য পাঠাতে হবে, প্রয়োজনে কর্মীদেরকোয়ারেন্টাই সেন্টারে যেতে হবে।
গ্রিন জোনে মদের দোকান খোলার অনুমতি মিলেছে। খুলবে, পান, গুটখা, সিগারেটের দোকানও। তবে, ক্রেতা ও বিক্রেতার মধ্যে ন্যূনতম ৬ ফুটের দূরত্ব বজায় রাখতে হবে। একসঙ্গে পাঁচ জনের বেশি দোকানে ভিড় করতে পারবে না। প্রকাশ্যে থুতু ফেলা শাস্তিযোগ্য অপরাধ বলে গণ্য হবে। এছাড়ও বলা হয়েছে যে, বিয়ের অনুষ্ঠানে ৫০ জনের বেশি জমায়েত করা যাবে না। কাজের জায়গায় বা বাইরে বেরোলেই মাস্ক পড়তে হবে। পারস্পারিক দূরত্ব মানতে হবে।
Read the full story in English
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন