Advertisment

'মন্দির কবে হবে? অযোধ্যাজুড়ে একটাই প্রশ্ন

'এখন কী হবে?', সুপ্রিম কোর্টের রায়ের পর এই তিনটি শব্দই ঘোরাফেরা করছে অযোধ্যাবাসীর মুখে।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
কে বানাবে রাম মন্দির? অযোধ্যায় তুমুল বাক-বিতণ্ডা

অযোধ্যায় পূণ্যার্থীরা

'এখন কী হবে?', সুপ্রিম কোর্টের রায়ের পর এই তিনটি শব্দই ঘোরাফেরা করছে অযোধ্যাবাসীর মুখে। মন্দির নির্মাণ শুরু হলেমন্দির সংলগ্ন ডালার দোকান বন্ধ করতে হবে! তখন রুটি-রুজি চলবে কীভাবে? চিন্তায় স্থানীয়রা।

Advertisment

শনিবারই অযোধ্যা মামলার রায় দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। অযোধ্যায় মন্দির নির্মাণের কথা বলা হয়েছে রায়ে। মসজিদ গঠন হবে পৃথক ৫ একর জমির উপর। রায় কার্যকর হলে সরিয়ে দেওয়া হবে অস্থায়ী রাম মন্দিরের পাশের পুজোর সামগ্রী বিক্রেতাদের। কমতে পারে পর্যটকদের আনাগোনা। তাই ঘর গুছোতে হাতে আর কতটা সময় রয়েছে? ভবিষ্যতের কথা ভেবে এখন তা জানতেই উদগ্রীব অভয় সিং, ওম প্রকাশরা।

আরও পড়ুন:  অযোধ্যা রায়: ধর্ম বিষয়ক বিচারে চাই বিচারপতি নাজিরকে

এতো গেল মন্দির নির্মাণের সময়কার চিন্তা। তার পরেও আশঙ্কার মেঘ রয়ে যাচ্ছে। মন্দির নির্মাণের পর ওই এলাকার সংস্কার হলে রাস্তা চওড়া হবে। আধুনিক হবে আধ্যাত্মিক পর্যটনের শহর অযোধ্যা। তখন রাস্তার পাশে ডালা বসতে না দিলে বিপদ বাড়বে। আগামী নিয়ে কথা বলতে গিয়ে পুজোর সামগ্রী বিক্রেতা অভয়কে পাশের ব্যক্তিকে বলতে শোনা যায়, 'পরিবারে রয়েছেন পাঁচজন। সবই চলে এখান থেকে উপার্জনের অর্থে। আশা করি প্রশাসন আমাদের সরিয়ে দেবে না। তবে, কিছুই নিশ্চিত নয়।' অনেকেই আবার বেশ আশাবাদী। ডালা ব্যবসায়ী ওম প্রকাশের কথায়,'মন্দির তৈরি হলে মানুষের আসা-যাওয়া কয়েকগুণ বেড়ে যাবে। এতে আমাদের বিক্রি বাড়ার সম্বাবনা রয়েছে।'

অযোধ্যায় এখনও কড়া নিরাপত্তা রয়েছে। নবি দিবসে বহু মুসলমান বাড়িতে আলো জ্বলতে দেখা গিয়েছে। কিন্তু, মন ভালো নেই ওদের। রাত বাড়তেই নিভেছে আলো। ভবিষ্যতের চিন্তায় সেখানকার সংখ্যালঘুররা। এসব নিয়ে কথা বলতেও নারাজ তারা।

আরও পড়ুন:  অযোধ্যা রায় পুনর্বিবেচনার আর্জি জানাবে না সুন্নি ওয়াকফ বোর্ড

অযোধ্যার বিজেপি বিধায়কের দাবি, 'আর কিছুদিনের মধ্যেই উন্নত চেহারায় ধরা দেবে এই শহর। প্রায় আড়াই হাজার কোটি টাকার কাজ হবে এখানে। পপরে আরও আড়াই হাজারের কাজের কথা রয়েছে। উন্নত করা হবে অযোধ্যা শহরকে। ফলে, তৈরি হবে কাজের সুযোগ।'

মন্দির নির্মাণ নিয়ে স্বপ্ন দেখতে শুরু করেছেন এলাকার পুরোহিতরা। একজনের কথায়, 'দ্রুত মন্দির গঠনই সবার অগ্রাধিকার। মসজিতের জমি কোথায় দেবে সরকার, সেদিকেও আমাদের নজর রয়েছে। আশা করি সরকার সবকিছু ভালোভাবে করবে।' একদিকে মন্দির তৈরির আনন্দ। অন্যদিকে ভবিষ্যতের চিন্তা। অযোধ্যার রাম মন্দির নির্মাণ ঘিরেও রয়ে যাচ্ছে আশা-আশঙ্কার দোলাচল।

Read the full story in  English

Ayodhya
Advertisment