১৯৯৩ সালের মুম্বই বিস্ফোরণ মামলার অন্যতম অভিযুক্ত আবদুল করিম টুন্ডাকে মুক্তি দিল টাডা আদালত। ১৯৯৩ সালে দেশের পাঁচটি বড় শহরে ধারাবাহিক বিস্ফোরণের মামলায় আব্দুল করিম টুন্ডাকে বেকসুর খালাস ঘোষণা করে আদালত। আদালত এই মামলার অন্য দুই অভিযুক্ত ইরফান ও হামিদউদ্দিনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের নির্দেশ দিয়েছে। প্রমাণের অভাবেই টুন্ডাকে বেকসুর খালাস ঘোষণা করে টাডা আদালত। আদালত রায়ে বলেন, টুন্ডার বিরুদ্ধে সরাসরি কোন প্রমাণ পাওয়া যায়নি।
আদালতের নির্দেশের পরিপ্রেক্ষিপ্তে টুন্ডার আইনজীবী শাফকাত সুলতানী বলেন, "আজ আদালত রায় দিয়েছে আবদুল করিম টুন্ডা সম্পূর্ণ নির্দোষ। আদালতে টুন্ডার বিরুদ্ধে পুলিশ কোন সুনির্দিষ্ট প্রমাণ পেশ করতে পারেনি। আমরা শুরু থেকেই বলে আসছিলাম আবদুল করিম টুন্ডা নির্দোষ।
১৯৯৩ সালের ৬ ডিসেম্বর লখনউ, কানপুর, হায়দরাবাদ, সুরাট এবং মুম্বইয়ের ট্রেনে ধারাবাহিক বোমা বিস্ফোরণ ঘটানোর অভিযোগে না জড়ায় টুন্ডার। পাশাপাশি ইরফান এবং হামিদুদ্দিনও এই মামলায় গ্রেফতার করে পুলিশ। ২০ বছর আগে, ২৮ ফেব্রুয়া্রি ২০০৪-এ, টাডা আদালত এই মামলায় ১৬ অভিযুক্তকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের নির্দেশ দিয়েছিল। পরে সুপ্রিম কোর্ট চার আসামিকে মুক্তি দেয় এবং বাকিদের দোষী সাব্যস্ত করে।
পাকিস্তানের আইএসআই থেকে টুন্ডা প্রশিক্ষণ নেওয়ার বিষয়টিও প্রকাশ্যে আসে। টুন্ডার বিরুদ্ধে দিল্লির বিভিন্ন থানায় ২১ টি এবং গাজিয়াবাদে ১৩ টি মামলা ছাড়াও দেশের বিভিন্ন স্থানে অনেকগুলি মামলা নথিভুক্ত রয়েছে। ১৯৫৬ সালে চুরির অভিযোগে তার বিরুদ্ধে প্রথম ফৌজদারি মামলা দায়ের করা হয়। টুন্ডা বাবরি ধ্বংসের প্রতিশোধ নিতে একটি সংগঠন গড়ে তোলেন এবং ১৯৯৩ সালে পাঁচটি শহরে ট্রেনে ধারাবাহিক বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটান ।
১৯৯৩ সালে পাঁচটি বড় শহরে ট্রেনে ধারাবাহিক বিস্ফোরণের পর, ১৯৯৬ সালে দিল্লিতে পুলিশ সদর দফতরের সামনে একটি বোমা বিস্ফোরণ ঘটে। এই মামলতেও টুন্ডার বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা হয়। ইন্টারপোল তার বিরুদ্ধে রেড কর্নার নোটিশ জারি করে। নেপাল সীমান্ত থেকে টুন্ডাকে গ্রেফতার করে পুলিশ। আবদুল করিম টুন্ডা ছিলেন ভারতের মোস্ট ওয়ান্টেড তালিকায় থাকা ২০ জন জঙ্গির মধ্যে একজন যাকে ভারত ২৬/১১-এর সন্ত্রাসবাদী হামলার পর পাকিস্তান সরকারের কাছে হস্তান্তরের দাবি জানিয়েছিল।