/indian-express-bangla/media/post_attachments/wp-content/uploads/2019/10/abhijit-1-1.jpg)
নোবেল জয়ী অর্থনীতিবিদ অভিজিৎ বিনায়ক বন্দ্যোপাধ্যায়।
ক্রমশ মন্দার দিকে ভারতীয় অর্থনীতি। এর জন্য বিজেপি নেতৃত্বাধীন কেন্দ্রীয় সরকারের নীতিকেই দায়ী করছেন নোবেল জয়ী অর্থনীতিবিদ অভিজিৎ বিনায়ক বন্দ্যোপাধ্যায়। সরকারের 'কেন্দ্রীভূত' অর্থনীতিকেই এজন্য কাঠগড়ায় তুলছেন তিনি। সঙ্কট কাটাতে সরকারি প্রকল্প মনরেগার মজুরি বৃদ্ধি, বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানকে শক্তিশালী করা, প্রধানমন্ত্রীর দফতরের অজথা হস্তক্ষেপ না করার পরামর্শ দিয়েছেন।
সোমবার নোবেল জয়ের ঘোষণার পরই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী অভিজিৎবাবুকে শুভেচ্ছা জানান। তার আগে চলতি মাসের ৯ তারিখ, অমেরিকার এক বিশ্ববিদ্যালয়ে বক্তৃতা দেওয়ার সময় ভারতের বিজেপি নেতৃত্বাধীন এনডিও সরকারের অর্থনৈতিক নীতির বিরোধিতা করেন। তাঁর মতে, দেশের কেন্দ্রীয় সরকারের অর্থনৈতিক নীতি গ্রামীণ অর্থনীতি ও চাহিদার উপর বিরূপ প্রভাব ফেলবে।
আরও পড়ুন: ‘আমরা জানতাম, ও ভবিষ্যতে ভালো কিছু করবে’ ফিরে দেখলেন অভিজিতের মাস্টারমশাই
বিগত কংগ্রেস নেত্বাধীন ইউপিএ সরকারের প্রশংসা শোনা যায় নোবেল জয়ীর মুখে। মনমোহনন সিং সরকারের ন্যাশনাল গ্রীন ট্রাইব্যুনাল, আরটিআই চালুর কথা উঠে আসে তাঁর মুখে। তিনি বলেন, 'বর্তমান সরকার মনে করছে তারা ক্ষমতা থেকে দূরে সরে যাচ্ছে। ফলে তারা কেন্দ্রীভূত সিদ্ধান্তের উপর গুরুত্ব আরোপ করছে। যা উচিত হচ্ছে না। এই নীতির বদল প্রয়োজন।' তাঁর মতে, প্রতিটি ক্ষেত্রে অতি সক্রিয় পিএমও, যার ফলে সিদ্ধান্ত প্রয়োগের ক্ষেত্রেও বিলম্ব হচ্ছে। অর্থনীতি অন্য খাতে মোড় নিচ্ছে। ফলে গ্রামীণ অর্থনীতি দুর্বল হচ্ছে। একই সঙ্গে বিনিয়োগ কমছে, নির্মাণ শিল্প ধুঁকছে। যার জেরে ভারতীয় অর্থনীতির হাল বেহাল। অভিজিৎ বন্দ্যাপাধ্যায় বিজেপি সরকারের
বিমুদ্রাকরণ, জিএসটি লাগুর বিরোধিতা করেন।
বহু বিশেষজ্ঞ ভারতীয় অর্থনীতির হাল শক্ত করতে ও সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলির উন্নয়নে নানা পরামর্শ দিয়েছেন। নোবেল জয়ী অর্থনীতিবিদের মতে, 'বিশেষজ্ঞদের পরামর্শে যেন হস্তক্ষেপ না করে পিএমও। প্রধানমন্ত্রীর দফতর কি চাইছে, তা মেনে যেন নীতি প্রণোয়ন না করা হয়। সরকারের বিরোধিতা করলেই যেন তাদের মামলার কবলে না ফেলা হয়।'
Read the full story in English