Advertisment

চিনের থেকে ব্যবসা সরলেও ভারতের লাভে সন্দিহান নোবেলজয়ী অভিজিৎ

অর্থনীতিবিদ এও বলেন যে দেশে অর্থনীতিকে জাগিয়ে তুলতে দরিদ্রদের ক্রয়ক্ষমতা বাড়াতে হবে আর তার জন্য সরকারের উচিত দরিদ্র শ্রেণির হাতে নগদ তুলে দেওয়া।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
NULL

করোনাভাইরাসের মধ্যেই চিনের থেকে মুখ ঘুরিয়েছে বহু দেশ। তা সে করোনা পরীক্ষার টেস্ট কিট হোক কিংবা মাস্কের মতো প্রতিরোধক। আগামীতে সেই রেশ জারি থাকলে ব্যবসায়িক ক্ষেত্রে তার কতোটা লাভ ওঠাতে সক্ষম হবে ভারত তা নিয়ে সন্দেহ রয়েছে নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অভিজিৎ বিনায়ক বন্দ্যোপাধ্যায়ের।

Advertisment

সম্প্রতি একটি তথ্য সামনে এসেছে যেখানে বলা হয়েছে যে বিশ্বের বেশিরভাগ বেসরকারি সংস্থা তাঁদের অফিস চিন থেকে সড়িয়ে ইন্দোনেশিয়া, তাইওয়ান, ভারতের মতো দেশে স্থাপন করতে চায়। যেখানে কম অর্থ বিনিময়ে শ্রমিকদের নিয়োগ করা যায়। এই তথ্যের প্রেক্ষাপটেই এমন মন্তব্য করেন নোবেলজয়ী। প্রসঙ্গত, কিছুদিন আগে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রবি শঙ্কর প্রসাদ বলেন চিন থেকে মুখ ঘুরিয়ে নেওয়া ব্যবসাকে কাজে লাগাবে ভারত।

সোমবার নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ বলেন, "অনেকেই ভাবছেন চিন থেকে ব্যবসা সরলে ভারতের লাভ হতে পারে। কিন্তু আমার তা মনে হয় না। চিন যদি তার মুদ্রার অবমূল্যায়ন ঘটায় সেক্ষেত্রে চিনের পণ্যগুলি সস্তা হয় পড়বে এবং লোকেরা তখন সেটাই কিনবে।"

বাংলার একটি জনপ্রিয় সংবাদমাধ্যম এবিপি আনন্দকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে সোমবার নোবেলজয়ী বলেন, "করোনাভাইরাস প্রাদুর্ভাবের নেপথ্যে চিনকে দোষারোপ করছে সকলে। সাধারণ মানুষও মনে করছে যে এর ফলে চিন থেকে যে ব্যবসা সরে আসবে তার লাভ ওঠাবে ভারত। কিন্তু এটা সত্যি নয়।

অর্থনীতিবিদ এও বলেন যে দেশে অর্থনীতিকে জাগিয়ে তুলতে দরিদ্রদের ক্রয়ক্ষমতা বাড়াতে হবে আর তার জন্য সরকারের উচিত দরিদ্র শ্রেণির হাতে নগদ তুলে দেওয়া। অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, "দরিদ্র মানুষদের হাতে এখন অর্থ নেই। তাই চাহিদা নেই। ফলে কমেছে ক্রয়ক্ষমতা। সরকারের উচিত দরিদ্র শ্রেণির মানুষদের হাতে অর্থ দেওয়া। সরকার ধনীদের চালনা করেন না, অর্থনীতি চালনা করেন।"

Read the full story in English

ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন

Abhijit Banerjee
Advertisment