শুভেন্দু অধিকারী বাড়ির ১০০ মিটার দূরত্বে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রস্তাবিত সভা নিয়ে মারাত্মক জলঘোলা চলছে। ৩ ডিসেম্বরের প্রস্তাবিত ওই সভার জল গড়ায় কলকাতা হাইকোর্ট পর্যন্ত। শেষমেশ সভা নিয়ে রায় জানাল উচ্চ আদালত। বৃহস্পতিবার হাইকোর্ট স্পষ্ট করে জানিয়েছে, অভিষেকের সভায় বাধা দেওয়া যায় না, তবে শুভেন্দু অধিকারীর বাড়ির নিরাপত্তাও সুনিশ্চিত করতে হবে পুলিশ প্রশাসনকে। তৃণমূলের সভাকে কেন্দ্র করে বিজেপি নেতার 'শান্তিকুঞ্জ'-র শান্তি যাতে বিঘ্নিত না হয় সেটা দেখতে হবে প্রশাসনকেই, এদিন এমনই জানিয়েছে আদালত।
আগামী ৩ ডিসেম্বর পূর্ব মেদিনীপুরের কাঁথিতে শুভেন্দু অধিকারীর বাড়ির খুব কাছেই বিশাল সমাবেশের আয়োজন করেছে তৃণমূল। রাজ্যের শাসকদলের ওই সভার প্রধান বক্তা দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। এই সভা নিয়ে গত কয়েকদিন ধরেই সরগরম পূর্ব মেদিনীপুর জেলা রাজনীতির আঙিনা। জেলার তৃণমূল নেতারা কার্যত পালা করে পড়ে রয়েছেন কাঁথির সভাস্থলে। আপাতমস্তক রাজনৈতিক এই সভাকে সফল করতে চেষ্টায় খামতি নেই জোড়াফুলের বড়-ছোট-মাঝারি নেতাদের।
তবে রাজ্যের শাসকদলের এই মেগা-সমাবেশ নিয়ে তুমুল আপত্তি শুভেন্দু অধিকারী। তাঁর দাবি, তৃণমূল ৩ ডিসেম্বর সভা করে তাঁকে ও তাঁর পরিবারকে হেনস্থা করার কৌশল নিয়েছে। কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়ে তৃণমূলের সভায় নিষেধাজ্ঞা জারির আবেদন করেছিলেন বিরোধী দলনেতা। যদিও আদালত নন্দীগ্রামের বিজেপি বিধায়কের সেই আবেদনে সাড়া দেয়নি।
আরও পড়ুন- মমতার সরকারের দারুণ প্রশংসায় নয়া রাজ্যপাল, সিভি আনন্দ বোসের মন্তব্যে চর্চা তুঙ্গে
বৃহস্পতিবার বিচারপতি রাজশেখর মান্থা বলেন, ''গণতান্ত্রিক দেশে সভা-সমাবেশ আটকানো যায় না। কাঁথির প্রভাত কুমার কলেজের মাঠে তৃণমূল সভা করতে পারবে। শব্দ বিধিকে মান্যতা দিয়ে শান্তিপূর্ণ উপায়ে সমাবেশ করতে হবে তৃণমূলকে।'' একইসঙ্গে বিচারপতির আরও নির্দেশ, ওই দিন শুভেন্দু অধিকারী বা তাঁর বাবা শিশির অধিকারীর অনুমতি ছাড়া কেউ তাঁদের বাড়িতে ঢুকতে পারবেন না। এই বিষয়টি স্থানীয় পুলিশ প্রশাসনকেই নিশ্চিত করা নির্দেশ দিয়েছে উচ্চ আদালত।
উল্লেখ্য, আগামী ৩ ডিসেম্বরের তৃণমূলের প্রস্তাবিত সভা তাঁকে ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের হেনস্থা করতেই করা হচ্ছে বলে অভিযোগ ছিল বিরোধী দলনেতার। শুভেন্দু অধিকারীর বাড়ির মাত্র ১০০ মিটারের মধ্যে প্রভাতকুমার কলেজের মাঠে প্রস্তাবিত ওই সভার বিরুদ্ধে আগেই স্থানীয় থানা ও জেলার পুলিশ সুপারের কাছে অভিযোগ জানিয়েছেন শুভেন্দু অধিকারী। বিরোধী দলনেতার দাবি তাতে কাজ না হওয়ায় শেষমেশ কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন তিনি। যদিও আদালত নন্দীগ্রামের বিজেপি বিধায়কের আবেদনে সাড়া দেয়নি।