Abide with Me- মহাত্মা গান্ধির অত্যন্ত প্রিয় ছিল এই স্তবগানের সুর। তাঁর মৃত্যুর পর প্রতি বছর ২৯ জানুয়ারি মহাত্মার প্রয়াণ দিবসের প্রাক্কালে সেনার বিটিং রিট্রিট অনুষ্ঠানে বাজানো হত এই সুর। কিন্তু এবছর থেকে সেই কর্মসূচি থেকে মহাত্মার প্রিয় স্তবগানকে বাদ দেওয়া হয়েছে। গত ২০২০ সালেও এই স্তবগানকে বাদ দেওয়া নিয়ে হইচই হয়, তখন সেটা স্থগিত রাখা হয়েছিল।
এবছরের সরকারি তালিকায় বিটিং রিট্রিট অনুষ্ঠানে ২৬টি সুরের মধ্যে এটি নেই। ১৯৫০ সাল থেকে প্রতিবছর এই সুরটি বাজানো হত। তবে ২০২০ সালে সেটি বাদ দেওয়া হয়। হেনরি ফ্রান্সিস লাইটের তৈরি এই সুর।
এবারের অনুষ্ঠান শুরু হবে ফ্যানফেয়ার বাই বাগলার্স দিয়ে। তার পর বীর সৈনিক বাজাবে মাসড ব্যান্ড। ছটি সুর ব্যাগপাইপার এবং ড্রাম ব্যান্ড বাজাবে। সেন্ট্রাল আর্মড পুলিশ ফোর্সের ব্যান্ড তিনটি সুর বাজাবে। তার পর এয়ারফোর্সের ব্যান্ড চারটি সুর বাজাবে। তার মধ্যে একটি বিশেষ হল লড়াকু সুর, নেপথ্যে ফ্লাইট লিউটেন্যান্ট এল এস রূপচন্দ্র।
আরও পড়ুন জুন্টার চরম অত্যাচার, প্রাণে বাঁচতে মিজোরামে ঢুকছে হাজারে হাজারে মায়ানমার শরণার্থী
নৌসেনার ব্যান্ড চারটি সুর বাজাবে, তার পর সেনার মিলিটারি ব্যান্ড তিনটি সুর বাজাবে। কেরালা, সিকি এ মোল এবং হিন্দ কি সেনা। মাসড ব্যান্ড আরও তিনটি সুর বাজাবে অনুষ্ঠানের শেষে। তার মধ্যে রয়েছে নেতাজির বিখ্যাত কদম কদম বাড়ায়ে যা, ড্রামার্স কল এবং এ মেরে ওয়াতন কে লোগোঁ।
অনুষ্ঠান শেষ হবে সারে জাহাঁ সে আচ্ছা দিয়ে। গোটা অনুষ্ঠানে ৪৪ জন বাগলার্স, ১৬ জন ট্রাম্পেটার্স এবং ৭৫ জন ড্রামার্স অংশ নেবেন। মূলত প্রজাতন্ত্র দিবসের সপ্তাহব্যাপী উদযাপনের শেষে বিটিং রিট্রিট অনুষ্ঠান হয় প্রতি বছর। প্রজাতন্ত্র দিবসের উদযাপন অনুষ্ঠান শুরু হয় ২৪ জানুয়ারি থেকে। তবে এবছর নেতাজির ১২৫তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে ২৩ জানুয়ারি থেকে শুরু হবে উদযাপন।