খুনে অভিযুক্ত পুলিশ আধিকারিকের দেহ উদ্ধার ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়াল কেরালায়। নেয়াটিঙ্কারার ডেপুটি পুলিশ সুপার বি হরিকুমারের মৃত্যু ঘিরে তৈরি হল রহস্য। মঙ্গলবার তিরুবনন্তপুরমের কাছে কাল্লামবলমে নিজের বাড়িতেই ওই পুলিশ আধিকারিকের দেহ মেলে। এক যুবককে খুনের অভিযোগ ওঠার পর থেকেই ফেরার ছিলেন ওই পুলিশ আধিকারিক। হরিকুমার গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মঘাতী হয়েছেন বলে মনে করা হচ্ছে।
তিরুবনন্তপুরমে পার্কিং স্পটে বচসার জেরে নেয়াটিঙ্কারার বাসিন্দা এস সনলকে চলন্ত গাড়ির সামনে ধাক্কা দেওয়ার অভিযোগ ওঠে হরিকুমারের বিরুদ্ধে। পরে জখম অবস্থায় ৩২ বছর বয়সী ওই যুবকের মৃত্যু হয়। বচসার সময়, উল্টোদিক থেকে আসা গাড়িটি দেখেই সনলকে ধাক্কা মারেন ওই পুলিশ আধিকারিক এবং পুরোটাই ইচ্ছাকৃত ছিল বলে খবর।
আরও পড়ুন, শবরীমালা রায় বহাল, পুনর্বিবেচনা নিয়ে পরবর্তী শুনানি ২২ জানুয়ারি
এ ঘটনার পর থেকেই ফেরার ছিলেন হরিকুমার। তামিলনাড়ু সীমানায় হরিকুমার গা ঢাকা দিয়েছিলেন বলে খবর ছড়ায়। এ সপ্তাহে আইজি এস সৃজিতের নেতৃত্বে পুলিশের একটা দল সীমানায় যায় কিন্তু শেষমেশ তাঁর বাড়ি থেকে দেহ মিলল। উল্লেখ্য, কয়েকদিন আগেই আগাম জামিনের আর্জি জানিয়েছিলেন হরিকুমার। সে আর্জির শুনানির দিনই দেহ উদ্ধার করা হল ওই পুলিশ আধিকারিকের। অন্যদিকে, এ ঘটনার জেরে তাঁকে সাসপেন্ড করা হয়েছিল। ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩০২ ধারায় তাঁর বিরুদ্ধে মামলা রুজু করা হয়।
এদিকে, মঙ্গলবার থেকে আমরণ অনশনে বসেছেন সনলের স্ত্রী ভিজি ও তাঁর পরিজনরা। যে এলাকায় তাঁর স্বামীকে হত্যা করা হয়েছিল বলে অভিযোগ উঠেছে, সেখানেই অনশন শুরু করেছেন তাঁরা। তাঁর স্বামীর হত্যাকারীকে গ্রেফতারের দাবিতে সরব হয়েছেন তাঁরা। তবে ওই পুলিশ আধিকারিকের মৃত্যুর খবর সামনে আসতেই হরিকুমারের পরিজনরা বিক্ষোভ তুলে নেন। হরিকুমারের মৃত্যুর খবর প্রসঙ্গে সনলের স্ত্রী ভিজি বলেন, ‘‘সবই ঈশ্বরের ইচ্ছা।’’
Read the full story in English