সম্প্রতি পকসো আইনে কলকাতা হাইকোর্টে দায়ের করা মামলার পর্যবেক্ষণে আদালত জানায়, '২মিনিটের আনন্দের পরিবর্তে কিশোরীদের যৌন ইচ্ছাকে নিয়ন্ত্রণ করা প্রয়োজন'! কলকাতা হাইকোর্টের ওই পর্যবেক্ষণের প্রেক্ষিতে সুপ্রিম কোর্ট কলকাতা হাইকোর্টের এই মন্তব্য আপত্তিকর ও অপ্রয়োজনীয় বলে মন্তব্য করেছে।
শীর্ষ আদালতের বেঞ্চের পর্যবেক্ষণ, এরকম নির্দেশে জনমানসে ভুল বার্তা পৌঁছেছে। কোনও আদালত এভাবে মেয়েদের যৌন ইচ্ছা নিয়ন্ত্রণের কথা বলতে পারে না! মামলার শুনানিতে বেঞ্চের পর্যবেক্ষণ, “এই ধরনের নির্দেশে ভুল বার্তা পৌঁছায়।”
'মেয়েদের উচিত তাদের যৌন আকাঙ্ক্ষা নিয়ন্ত্রণ করা এবং দু'মিনিটের আনন্দের দিকে মনোনিবেশ করা উচিত নয়'! সম্প্রতি এমনই মন্তব্য করেছে কলকাতা হাইকোর্ট।যৌনতা সংক্রান্ত একটি মামলার শুনানির সময় কলকাতা হাইকোর্টর এমন মন্তব্যর প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে সুপ্রিম কোর্টও।
কলকাতা হাইকোর্টের সেই মন্তব্যে সুপ্রিম কোর্ট শুধু বিরক্তিই প্রকাশ করেনি, এমন মন্তব্যকে অপ্রয়োজনীয় ও আপত্তিকর বলেও অভিহিত করেছে। সুপ্রিম কোর্ট বলেছে, রায় দেওয়ার সময় আদালতের 'ব্যক্তিগত মন্তব্য' এড়ানো উচিত। হাইকোর্টের এই মন্তব্যকে আপত্তিকর ও অপ্রয়োজনীয় আখ্যা দিয়ে সুপ্রিম কোর্ট একে সংবিধানের ২১ ধারায় মৌলিক অধিকারের লঙ্ঘন বলেও অভিহিত করেছে। নাবালিকার যৌন হেনস্থার মামলার পর্যবেক্ষণে কলকাতা হাইকোর্ট মন্তব্য করে যে 'মেয়েদের তাদের যৌন ইচ্ছা নিয়ন্ত্রণ করা উচিত এবং ২ মিনিটের আনন্দের দিকে মনোনিবেশ করা উচিত নয়'।
তবে, হাইকোর্ট ছেলেদেরও পরামর্শ দিয়েছিল যে তাদেরও মেয়েদের মর্যাদাকে সম্মান করতে হবে। মামলায় আদালত POCSO আইনের অধীনে অভিযুক্তকে খালাসও দিয়েছে। এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে আপিলও করেছিল রাজ্য সরকার।