সেফ ড্রাইভ সেভ লাইফ প্রকল্পের আওতায় রাজ্যে নানাবিধ কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে সরকারি এবং বেসরকারি উভয় স্তরেই। এই কর্মসূচির মধ্যে দিয়ে মানুষের মধ্যে সচেতনতাও বেশ কয়েক শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। কিন্তু বাইক চালকদের মধ্যে হেলমেট না-পরার অভ্যাস এখনও অনেকটাই। গরমের মধ্যে পুরো মাথাঢাকা হেলমেট অনেকেই পরতে চান না। অর্ধেক মাথা ঢাকা হেলমেট দুর্ঘটনা পুরোপুরি এড়াতে পারে না।
হেলমেটের কারণে দুর্ঘটনা গ্রীষ্মপ্রধান ভারতে সব জায়গারই সমস্যা। সে কথা মাথায় রেখেই হায়দরাবাদের একটি স্টার্ট আপ কোম্পানি এবার বাইক চালকদের জন্য বানিয়েছে এসি হেলমেট। এটি কেবল মাত্র একটি মিনি কম্প্রেসার মেশিন যুক্ত ছোট্ট একটি এসি। যা একটি বেল্ট দিয়ে ফুলমাস্ক হেলমেটের সঙ্গে আটকানো থাকে। এর ফলে হেলমেটের সামনের কাঁচ নামানো থাকলে ভিতরে প্রবল ঠান্ডা অনুভূত হয়। ফলে গরমকালেও হেলমেট পরায় আগ্রহী হবেন বাইক চালকরা।
হিডকোর পক্ষ থেকে এই হেলমেট হায়দরাবাদের ওই সংস্থার কাছ থেকে পরীক্ষামূলকভাবে নেওয়া হয়েছে। কয়েকদিন আগে ইকোপার্কে একটি অনুষ্ঠানের মাধ্যমে চার জন বাইক চালককে ওই এসি হেলমেট দেওয়া হয়। তাঁদের কাছ থেকে ৭ দিন পরে এ নিয়ে একটি রিপোর্ট সংগ্রহ করা হবে। পরে সেই রিপোর্ট পাঠিয়ে দেওয়া হয়ে স্টার্ট আপ কোম্পানির কাছে। রিপোর্টে যদি কোনও সমস্যা দেখা যায় তাহলে ওই এসি হেলমেট বদল করা হবে বলেই জানানো হয়েছে।
হিডকোর পক্ষ থেকে ১০ জনকে পরীক্ষামূলকভাবে ব্যবহার করতে দেওয়া হয়েছে এই হেলমেট (ফোটো- ফিরোজ আহমেদ)
ব্লু স্ন্যাপ নামের এই স্টার্ট আপ কোম্পানির প্রতিনিধিও ওই অনুষ্ঠানে হাজির ছিলেন। তিনি বলেন, "এই হেলমেটে একটি রিচার্জেবেল ব্যাটারি, একটি কম্প্রেসার এবং একটি ফিল্টার দেওয়া আছে। সবার আগে এই মেশিনের মধ্যে মাত্র ৬৫ মিলিলিটার জল দিতে হবে। তারপরে সেই এসিটির সুইচ অন করলেই ঠান্ডা হাওয়া হেলমেটে ছড়িয়ে পড়বে। ফলে প্রবল গরমেও হেলমেট পরতে সমস্যা হবে না। এখনও পর্যন্ত সারা দেশের ২০০০ মানুষ এই এসি মেশিন দেওয়া হেলমেট ব্যবহার করেছেন।"
হিডকোর চেয়ারম্যান দেবাশিস সেন জানিয়েছেন, "এই এসি হেলমেটকে পরীক্ষামূলকভাবে ব্যবহার শুরু করা হল। ৭ দিন পর ব্যবহারকারীদের কাছ থেকে রিপোর্ট নিয়ে তবেই আগামী দিনের পরিকল্পনা করা হবে।"
জানা গিয়েছে, এই এসি হেলমেটের দাম মাত্র ২০০০ টাকা। একবার চার্জে সাড়ে দশ ঘণ্টা এসি চালানো সম্ভব হবে বলে দাবি করা হয়েছে প্রস্তুতকারী সংস্থার পক্ষ থেকে।