ভারতের বিচার ব্যবস্থার দীর্ঘসূত্রীতা নিয়ে অভিযোগ দীর্ঘদিনের। যা নিয়েই মুখ খুলেছেন দেশের প্রধান বিচারপতি এন ভি রামানা। ট্রাইব্যুনালগুলির শূন্যপদ সমস্যাটিকে তুলে ধরে বিচারপতি রামানার দাবি, বিচার ব্যবস্থায় বোঝা জমছে। মামলা নিষ্পত্তি করার জন্য পর্যাপ্ত সংখ্যক আদালত থাকলেই বিচার মেলা সম্ভব।
তেলেঙ্গানা স্টেট জুডিশিয়াল অফিসারস কনফারেন্স 2022-এর উদ্বোধনী অধিবেশনে ভাষণ দিতে গিয়ে প্রধান বিচারপতি বলেছেন যে, 'বিচার বিভাগের পরিকাঠামো এবং শূন্যপদ পূরণের বিষয়টি খুবই উদ্বেগের। ন্যায়বিচারের তখনই মেলা সম্ভব যখন আমাদের পর্যাপ্ত সংখ্যক আদালতের ব্যবস্থা করা হবে। ইতিমধ্যেই আমাদের বিচার প্রক্রিয়ায় অতিরিক্ত বোঝা জমে রয়েছে।'
প্রধান বিচারপতি বিচার প্রক্রিয়ার পরিকাঠামোগত অভাব সম্পর্কে সোচ্চার হয়েছেন। এই বছরের শুরুতে বিভিন্ন ট্রাইব্যুনালে শূন্যপদ পূরণে সুপ্রিম কোর্ট সরকারকে নির্দেশ দিয়েছিল। কিন্ত তা সত্ত্বেও তা বাস্তবায়িত হয়নি কে তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন বিচারপতি রামানা। তাঁর মতে, শীর্ষ আদালতের নির্দেশকে 'আমলাতন্ত্র খুব হালকাভাবে নিচ্ছে।' দেশের প্রধান বিচারপতির কথায়. 'আমরা সরকারের অবস্থান জানতে চাই। আগে সরকারের তরফে বলা হয়েছিল যে বিচারপ্রক্রিয়া কিছু নিয়েগ হয়েছে। তার পর আর কিছুই হচ্ছে না। কোর্টের নির্দেশ আমলাতন্ত্র খুব হালকাভাবে নিচ্ছে। তাঁদের মানসিকতা অনেকটা যে, আমরা শুনি এবং আদেশ পাস করি ধরণের।'
২০২১ সালের জুলাই-তে, শীর্ষ আদালত ট্রাইব্যুনাল সংস্কার অধ্যাদেশ, ২০২১ বাতিল করেছিল। যা বিভিন্ন ট্রাইব্যুনালের সদস্যদের পরিষেবা এবং মেয়াদের শর্তাদি নির্ধারণ করতে চেয়েছিল। কিন্তু গত বছরের অগাস্টে, সরকার ট্রাইব্যুনাল সংস্কার বিল, ২০২১ আনে, যার মধ্যে আগের আইনের মতো যথেষ্ট পরিমাণে অনুরূপ বিধান রয়েছে।
সেই থেকে, শীর্ষ আদালত, ট্রাইব্যুনালে শূন্যপদের সমস্যাটি তুলে ধরে আবেদনের শুনানি করার সময় একাধিকবার তার অসন্তোষ প্রকাশ করেছে। গত বছরের অগস্টে এটিকে চিহ্নিত করে, প্রধান বিচারপতি বলেছিলেন যে, 'আমরা যে ধারণাটি পাচ্ছি তা হল আমলাতন্ত্র ট্রাইব্যুনাল চায় না।' তাঁর দাবি ছিল যে, সরকার তাঁর ধৈর্যের পরীক্ষা করছে।
Read in English