সেনা আধিকারিকদের কয়েকজনের ভুলের জেরেই ভারত থেকে পাকিস্তানে গিয়ে আছড়ে পড়ে মিসাইল। সেই দুর্ঘটনা নিয়ে চলা তদন্তে প্রাথমিকভাবে এমনই তথ্য উঠে এসেছে। ঘটনার তদন্তকারী আধিকারিকরা গ্রুপ ক্যাপ্টেন এবং আরও কয়েকজন কর্তার ভূমিকাও পরীক্ষা করে দেখছে বলে জানা গিয়েছে। যদিও এবিষয়ে এখনও আনুষ্ঠানিক কোনও মন্তব্য পাওয়া যায়নি। ৯ মার্চ ভারত থেকে একটি সুপারসনিক মিসাইল গিয়ে পড়ে পাক ভূখণ্ডে। সেই ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ জানায় পাকিস্তান।
প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের নির্দেশে সেই ঘটনার উচ্চ পর্যায়ের তদন্ত চলছে। সেই তদন্তের সঙ্গে যুক্ত এক আধিকারিক জানিয়েছেন, প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে মানবিক ত্রুটির জেরেই ওই বিপত্তি ঘটেছিল। উল্লেখ্য, গত ১১ মার্চ প্রতিরক্ষা মন্ত্রক জানায়, ভুলবশতই ক্ষেপণাস্ত্রটি নিক্ষেপ করা হয়েছিল। পরে সেটি পাক ভূখণ্ডে গিয়ে আছড়ে পড়ে। ঘটনাটিকে দুঃখজনক বলেও বর্ণনা করেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং। নিয়মিত রক্ষণাবেক্ষণের সময় প্রযুক্তিগত ত্রুটির জেরেই ওই দুর্ঘটনাটি ঘটে বলে সেই সময় জানিয়েছিল জানায় প্রতিরক্ষা মন্ত্রক।
সরকার ঘটনাটিকে গুরুত্ব দিয়ে দেখছে বলে জানিয়ে উচ্চ পর্যায়ের তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিল প্রতিরক্ষা মন্ত্রক। প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং ১৫ মার্চ সংসদে বলেছিলেন, ''এই ধরনের সিস্টেমগুলির অপারেশন, রক্ষণাবেক্ষণ এবং পরিদর্শনের জন্য স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং পদ্ধতিগুলি পর্যালোচনা করা হচ্ছে।''
আরও পড়ুন- শিশুর শরীরে মায়ের থেকে সংক্রমণের সম্ভাবনা কতটা? জানাল গবেষণা
এদিকে ভারতীয় ক্ষেপনাস্ত্র পাক ভূখণ্ডে আছড়ে পড়া নিয়ে রীতিমতো ক্ষোভ প্রকাশ করে ইসলামাবাদ। ওই ঘটনার পরেই পাকিস্তান ইসলামাবাদে ভারতের চার্জ ডি'অ্যাফেয়ার্সকে তলবও করেছিল। ভারতীয় সুপারসনিক তাদের আকাশসীমা বিনা প্ররোচনায় লঙ্ঘন করেছিল বলেও অভিযোগ তোলে ইমরান খানের সরকার।
পাকিস্তানের বিদেশ মন্ত্রক জানায়, ভারত থেকে ওড়া ওই ক্ষেপনাস্ত্র পাক ভূখণ্ডে মিয়া চান্নু শহরের কাছে আছড়ে পড়েছিল। তার জেরে বেশ কিছু সম্পত্তিরও ক্ষতি হয়েছিল বলে দাবি করে পাকিস্তান। পাক বিদেশ মন্ত্রক এই ঘটনার পূর্ণাঙ্গ ও স্বচ্ছ তদন্তের আবেদন জানিয়েছিল ভারতের কাছে। এমনকী তদন্তের রিপোর্ট ইসলামাবাদকে জানাতেও আবেদন করে ইমরান খানের সরকার।
Read story in English