শ্রদ্ধা হত্যাকাণ্ডে, দিল্লি পুলিশ নারকো টেস্টের জন্য আফতাব পুনাওয়ালাকে নিয়ে দিল্লির বাবা সাহেব আম্বেদকর হাসপাতালে পৌঁছেছেন। সকাল ১০টায় শুরু হবে নারকো টেস্টের প্রক্রিয়া। এর আগে আফতাবের পলিগ্রাফ পরীক্ষা করে দিল্লি পুলিশ। খুনের কিনারায় ইতিমধ্যে দিল্লি পুলিশ সিট গঠন করেছে। জিজ্ঞাসাবাদে আফতাবের কাছ থেকে একাধিক গুরুত্বপুর্ণ তথ্য পেয়েছে পুলিশ।
শ্রদ্ধা খুনের ঘটনায় আজই অভিযুক্ত আফতাব পুনাওয়ালের নারকো টেস্ট করা হবে। এর আগে আফতাবের পলিগ্রাফ টেস্ট করা হয়, যাতে সে খুনের কথা স্বীকার করে। অন্যদিকে, আফতাবের বক্তব্য’র ভিত্তিতে ছতরপুর এবং গুরুগ্রামের জঙ্গলে আবার তল্লাশি অভিযান চালানো হবে বলে জানিয়েছে দিল্লি পুলিশ।
২৯শে নভেম্বর, দিল্লির একটি আদালত রোহিনীর ফরেনসিক সায়েন্স ল্যাবরেটরিতে (এফএসসি) আফতাব আমিন পুনাওয়ালার নারকো টেস্ট করার অনুমতি দিয়েছিল। পুনাওয়ালার আইনজীবী অবিনাশ কুমার বলেন, পুলিশ অভিযুক্তকে ১ ও ৫ ডিসেম্বর রোহিণীর পরীক্ষাগারে নিয়ে যাওয়ার অনুমতি চেয়েছিল, যা আদালত গ্রহণ করেছে।
গত সোমবার এফএসএল-এর বাইরে প্রিজন ভ্যানে থাকাকালীন সময়ে পুনাওয়ালার ওপর আক্রমণের ঘটনা ঘটে। কয়েকজনকে ঘটনাস্থল থেকে গ্রেফতার করা হয়। এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে ল্যাবরেটরির কাছে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। সোমবার পুনাওয়ালাকে পলিগ্রাফ টেস্টের জন্য এফএসএলে নিয়ে যাওয়া হয় যখন তিনি আক্রান্ত হন।
এদিকে দিল্লির নারকীয় শ্রদ্ধা ওয়ালকার খুনের ঘটনায় পুলিশ জেরা করেছে অভিযুক্ত আফতাব পুনাওয়ালার নতুন বান্ধবীকে। পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে বেশ কিছু তথ্য সামনে এসেছে। শ্রদ্ধা ওয়ালকার খুনের পর আফতাব পুনাওয়ালা ডেটিং অ্যাপের মাধ্যমে একাধিক মহিলার সঙ্গে আলাপ জমান। এই তরুণীর সঙ্গে আফতাবের আলাপ সেই ডেটিং অ্যাপেই। পুলিশি জেরার আফতাবের বান্ধবী জানিয়েছেন, আফতাব সুগন্ধী খুবই পছন্দ করতেন। এমনকী বেশ কয়েকটি সুগন্ধী আফতাব তাকে উপহার হিসেবেও দেন। পাশাপাশি আফতাবের ধূমপানের নেশার কথাও তিনি জেরাইয় পুলিশকে জানান। অন্যদিকে, দিল্লি পুলিশ আফতাবের ঘনিষ্ঠ বন্ধুদের বয়ান রেকর্ড করছে। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, অভিযুক্ত আফতাব জিজ্ঞাসাবাদে শ্রদ্ধা হত্যা মামলার বিভিন্ন গল্প বলে পুলিশকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করেছে।
বান্ধবীর দাবি শ্রদ্ধার খুনের কথা সে জানতই না। এই নৃশংস হত্যাকাণ্ডের পর, তিনি দুবার দিল্লির ছাতারপুরে আফতাবের ফ্ল্যাটেও গিয়েছিলেন বলে পুলিশকে জানান তিনি। সে সময় শ্রদ্ধার মৃতদেহ ঘরের কোথাও বা ফ্রিজে টুকরো টুকরো অবস্থায় থাকার বিষয়ে তার কোনো ধারণা ছিল না বলেও তিনি পুলিশকে জানিয়েছেন।