ফেসবুক লাইভ চলাকালীন পরপর গুলি, মৃত্যু হয়েছে উদ্ধব শিবিরের নেতার। এই ঘটনার তদন্তে নেমে চাঞ্চল্যকর তথ্য সামনে এসেছে মুম্বই পুলিশের হাতে।
উদ্ধব ঠাকরের নেতৃত্বাধীন শিবসেনার এক নেতাকে ফেসবুক লাইভ স্ট্রিমিংয়ের সময়েই গুলি করা হয়৷ মৃতের নাম অভিষেক ঘোষালকর। বৃহস্পতিবার মুম্বইতে এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে চূড়ান্ত চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। জানা গিয়েছে, শিবসেনা নেতাকে গুলি করার পর আততায়ীও আত্মঘাতী হয়েছেন। অভিযুক্তের নাম মৌরিস নরোনহা। পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে দুজনের মধ্যে দীর্ঘদিনের শত্রুতা ছিল। অভিষেকের বাবা বিনোদ ঘোশালকর প্রভাবশালী শিবসেনা নেতা। গুলিবিদ্ধ অবস্থায় অভিষেককে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে সেখানেই তাঁর মৃত্যু হয়।
পুলিশ তদন্তে নেমে জানতে পেরেছে ২০২২ অভিযুক্ত মৌরিস নরোনহাসালের বিরুদ্ধে একটি ধর্ষণের মামলা দায়ের করা হয়। যার জেরে তাঁকে তিনমাস জেল বন্দী থাকতে হয়েছিল। পুলিশ জানিয়েছে ঘোসালকরের নির্দেশে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছিল। তার বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ থাকার কারণে তিনি কোনো রাজনৈতিক দল থেকে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার টিকিট পাচ্ছিলেন না । তার বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগে এফআইআর ছাড়াও আরও দুটি মামলা রয়েছে। আর এই ঘটনার জেরেই ঘোসালকরকে খুনের প্ল্যানিং সেরে নিয়েছিলেন তিনি।
শনিবার নোরানহার স্ত্রীর জবানবন্দি রেকর্ড করেছে মুম্বই ক্রাইম ব্রাঞ্চ। তিনি পুলিশকে জানিয়েছেন তার স্বামী ঘোষালকারের বিরুদ্ধে প্রতিশোধ নেওয়ার 'শপথ' করেছিলেন। পুলিশ নরনহার মোবাইল ফোনটি উদ্ধার করেছে। তাতে দেখা গিয়েছে বিভিন্ন লোকের সঙ্গে তার বেশ কয়েকটি চ্যাট মুছে ফেলা হয়েছে। একজন অফিসার বলেছেন, "আমরা মুছে ফেলা চ্যাটগুলি খতিয়ে দেখার চেষ্টা করছি। ঘটনার বিষয়ে কার কার সঙ্গে তিনি পরিকল্পনা করেছিলেন তাও খুঁজে বের করার চেষ্টা করা হচ্ছে।"
পাকিস্তান নির্বাচন: < Pakistan Election 2024 Result : ভোটে ‘কারচুপি’ দাবি, বিক্ষোভের মধ্যে পাকিস্তানে একাধিক বুথে পুনর্নির্বাচন >
পুলিশ শনিবার নরোনহার দেহরক্ষী আমেরিন্দর মিশ্রকে আদালতে পেশ করেছে। তাকে ১৩ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত পুলিশ হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিয়েছে আদালত। প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, লাইভ স্ট্রিমিংয়ের পর অভিযুক্ত নিজেকেও গুলি করে। পুরো ঘটনাটি ঘটেছে ফেসবুক লাইভ চলাকালীন। অভিযুক্ত তার ফেসবুক আইডি থেকেই লাইভ করছিলেন। দুজনের মধ্যে আলোচনা শেষ হতেই মরিস তাকে সামনে থেকে গুলি করে।
এই ঘটনায় শিবসেনা (ইউবিটি) সাংসদ সঞ্জয় রাউত মহারাষ্ট্র সরকারের বিরুদ্ধে রাজ্যে নৈরাজ্য ছড়ানোর অভিযোগ করেছেন। রাউত মুম্বইয়ের গুলি চালানোর ঘটনার পর মহারাষ্ট্রের উপ-মুখ্যমন্ত্রী এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়নভিসের পদত্যাগের দাবি করেছেন।