বালাকোট এয়ার স্ট্রাইকের প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী-সহ কেন্দ্র সরকারের প্রতি তীব্র কটাক্ষ করলেন এনসিপি প্রধান শরদ পাওয়ার। তাঁর অভিযোগ, শত্রুর ঘরে ঢুকে মারার কথা বলা হলেও সন্ত্রাসবাদীদের উপর আক্রমণ করা হয়েছে কাশ্মীরে, পাকিস্তানে নয়। প্রসঙ্গত, লোকসভা নির্বাচনের প্রচারপর্বে প্রধানমন্ত্রী শত্রুর ঘরে ঢুকে মারার কথা বলেছিলেন।
সাম্প্রদায়িক রাজনীতির সমালোচনা করে পাওয়ার জানান, সাংস্কৃতিক সাম্প্রদায়িকতা রাজনৈতিক ভাবে বিজেপি-র সুবিধা করে দিচ্ছে। বর্ষীয়ান মারাঠি রাজনীতিবিদের আশঙ্কা, দুটি প্রধান সম্প্রদায় যদি পরস্পরবিরোধী অবস্থান নেয়, তাহলে তা দেশের সামাজিক সম্প্রীতির জন্য বিপজ্জনক।
মহারাষ্ট্রের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী পাওয়ার শনিবার তাঁর দফতর থেকে ফেসবুকের লাইভ চ্যাটে বলেন, দেশের মানুষ মোদীকে সমর্থন করেছেন, কারণ তিনি পাকিস্তানের ঘরে ঢুকে আঘাত করার কথা বলেছিলেন। কিন্তু বাস্তবে যাবতীয় আক্রমণই সংগঠিত হয়েছে কাশ্মীরে, পাকিস্তানে নয়। এবং মনে রাখা উচিত, কাশ্মীর ভারতেরই অঙ্গ। তাঁর কথায়, "কাশ্মীরে সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপ বন্ধের জন্য মোদী সরকার কিছু ব্যবস্থা নিয়েছে ঠিকই, কিন্তু তার অর্থ এই নয় পাকিস্তানকে তাদের মাটিতে আঘাত করা গিয়েছে। যেহেতু সাধারণ মানুষের মধ্যে লাইন অফ কন্ট্রোল নিয়ে স্পষ্ট ধারণার অভাব রয়েছে, তাই এমন একটা ধারনা তৈরি হয়েছে যে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে কিছু কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হয়।"
পাওয়ার আরও অভিযোগ করেন, একটি নির্দিষ্ট সম্প্রদায়ের প্রতি বিদ্বেষের বাতাবরণ তৈরি করা হচ্ছে। তাঁর কথায়, "সাংস্কৃতিক সাম্প্রদায়িকতা দেশজুড়ে পরোক্ষে প্রভাব বিস্তার করেছে। এর দ্বারা বিজেপি রাজনৈতিক ভাবে লাভবান হচ্ছে। দু-টি সম্প্রদায় যদি পরস্পরবিরোধী অবস্থান নেয়, তাহলে তা দেশের জন্য অত্যন্ত বিপজ্জনক। মনে রাখতে হবে, হিন্দুদের পরেই এদেশে দ্বিতীয় সংখ্যাগরিষ্ঠ সম্প্রদায় মুসলিম।"