একদিনে দেশে করোনা আক্রান্ত হয়ে ২৮জনের মৃত্যু, সক্রিয় রোগীর সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ৬৬ হাজার ১৭০ রীতিমত আতঙ্ক ছড়াচ্ছে করোনা। দেশের করোনা পরিস্থিতি ক্রমেই ভয়াবহ হয়ে উঠছে। স্বাস্থ্যমন্ত্রকের তথ্য অনুসারে একদিনে দেশে নতুন করে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ১১ হাজার ৬৯২ জন। সেই সঙ্গে দেশে একদিনে করোনা আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে ২৮ জনের। সক্রিয় রোগীর সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ৬৬ হাজার ১৭০। মোট মৃতের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ৫,৩১,২৫৮।
দেশে এখনও পর্যন্ত করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ৪.৪৮ কোটি মানুষ। সুস্থতার হার এই মূহূর্তে ৯৮.৬৭শতাংশ রেকর্ড করা হয়েছে। যেখানে মৃত্যুর হার ১.১৮ শতাংশে রেকর্ড করা হয়েছে। মন্ত্রকের ওয়েবসাইট অনুসারে, দেশব্যাপী টিকাদান অভিযানের অধীনে এ পর্যন্ত দেশে ২২০.৬৬কোটি ডোজ কোভিড ভ্যাকসিন দেওয়া হয়েছে।
নয়া স্ট্রেনের দাপটেই বাড়বাড়ন্ত করোনা ভাইরাসের। উপসর্গ (Symptoms) মৃদু হলেও প্রাণ হারাচ্ছেন প্রবীণ ব্যক্তিরা, সেই সঙ্গে যাদের কো-মর্বিডিটি (Co-Morbidity) আছে এমন মানুষ অর্থাৎ যাঁদের হৃদপিণ্ড, কিডনি, ফুসফুস, যকৃতের রোগ আছে তাঁদের ক্ষেত্রে আরও সাবধানতা মেনে চলার নির্দেশ জারি করেছে রাজ্যের স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রক।
রিপোর্ট অনুসারে বলা হয়েছে, যারা এই নয়া স্ট্রেনের কবলে পড়ছেন তাদের মধ্যে ১-২ দিন ধরে জ্বর, গলা ব্যথা, মাথাব্যথা, ডায়রিয়ার মতো উপসর্গ ছাড়াও শরীরে প্রচণ্ড ব্যথার মতো উপসর্গ দেখা দিচ্ছে। XBB.1.16 বা Arcturus ভেরিয়েন্ট তরুণদের অনেক বেশি সংক্রমিত করছে। এনিয়ে বিশেষ ভাবে সাবধানতা মেনে চলার কথা বলেছেন চিকিৎসকরা। তাদের কথায়, XBB.1.16 বা Arcturus ভেরিয়েন্ট অল্পবয়সীদের সংক্রামিত করছে এমন আবহে কোভিড বিধি মেনে চলা বাধ্যতামূলক।
চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন এখনও যারা বুস্টার ডোজ গ্রহণ করেননি বিশেষ করে যদি আপনি অন্য কোন রোগে আক্রান্ত হয়ে থাকেন তাহলে সংক্রমণ থেকে বাঁচতে “টিকার বুস্টার ডোজ সংক্রমণের ঝুঁকি অনেকটাই কমিয়ে দিতে পারে। উচ্চ রক্তচাপ, ডায়াবেটিস , দীর্ঘস্থায়ী কিডনি রোগ (CKD), করোনারি আর্টারি ডিজিজ (CAD), রোগীদের ইমিউনোসপ্রেসিভ ওষুধ ইত্যাদির ক্ষেত্রে অতিরিক্ত সতর্কতা অবলম্বন করা উচিত, এবং বুস্টার ডোজ সহ পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে টিকা নেওয়া উচিত।
শুধু ভারত নয়, গোটা দক্ষিণ এশিয়াজুড়েই বাড়ছে কোভিড সংক্রমণ। এদিকে বাড়তে থাকা করোনা নিয়ে ইতিমধ্যেই বিবৃতি দিয়েছে WHO, বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থা জানিয়েছে করোনার এই বাড়বাড়ন্তের পিছনে রয়েছে XBB.1.16 ভ্যারিয়েন্ট। ইন্ডিয়ান মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশন (আইএমএ) সোমবার দেশের জনগণকে ক্রমবর্ধমান কোভিড সংক্রমণের মধ্যে আতঙ্কিত না হওয়ার পরামর্শ দিয়ে বলেছে যে তাদের যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি বজায় রাখা উচিত।
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে বুড়ো আঙুল দেখাচ্ছে ওমিক্রন XBB.1.16 ভেরিয়েন্ট। ক্রমশ মিউটেশনের মাধ্যমে নিজেকে আরও বেশি সংক্রামক করে তুলছে ওমিক্রনের এই ভেরিয়েন্ট। গত ১৫ মাসে ভারতে ওমিক্রনের চারশো নতুন সাব-ভেরিয়েন্টকে শনাক্ত করা হয়েছে। এর মধ্যে, সমস্ত ভেরিয়েন্টের ৯০ শতাংশ হল XBB৷ XBB.1.16।