শনিবার অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন বলেছেন যে আদানি ইস্যু নিয়ে বর্তমান বিতর্কের মধ্যে আর্থিক নিয়ন্ত্রক সংস্থাগুলি তাদের কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। আদানি বিতর্কে উত্তাল সংসদ। বিরোধীদের নিশানার মুখে সরকার, এর মাঝেই আদানির বিরুদ্ধে ওঠা দুর্নীতির ব্যাপারে সাফ জানিয়ে দিলেন সীতারমন। তিনি বলেন, “নিয়ন্ত্রকরা তাদের কাজ করছেন।”নিয়ন্ত্রক বলতে সেবি, রিজার্ভ ব্যাঙ্কের মতো সংস্থার কথা বলতে চেয়েছেন অর্থমন্ত্রী।
অর্থমন্ত্রী আরও বলেছেন যে “আদানি গ্রুপের ২০ হাজার কোটি টাকার FPO প্রত্যাহার দেশের অর্থনীতির চিত্রকে প্রভাবিত করেনি। দেশে বহুবার এফপিও প্রত্যাহার করা হয়েছে এবং এতে দেশের ভাবমূর্তির কোনো প্রভাব পড়েনি। প্রতিটি বাজারে উত্থান-পতন ঘটে। আরবিআই ইতিমধ্যেই জানিয়েছে যে ব্যাঙ্কিং সেক্টর শক্তিশালী এবং স্থিতিশীল”।
মার্কিন শর্ট সেলিং ফার্ম হিন্ডেনবার্গ রিসার্চ আদানি গ্রুপের বিরুদ্ধে স্টক ম্যানিপুলেশনের অভিযোগ এনেছে। এরপর ক্রমাগত পতন ঘটছে গ্রুপ কোম্পানিগুলোর শেয়ারের। আদানি গ্রুপ এসব অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেছে। গৌতম আদানি বলেন, ‘এটা দেশকে বদনাম করার ষড়যন্ত্র’।
আদানি গ্রুপের নতুন করে শেয়ার ছাড়ার বিষয়টি নিয়েও সাংবদিকদের প্রশ্ন এড়িয়ে গিয়েছেন অর্থমন্ত্রী। এফপিও-র প্রসঙ্গে তিনি বলেছেন, “এই দেশে কত বার এফপিও তুলে নেওয়া হয়েছে? এ জন্য কত বার দেশের ভারমূর্তি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে?” আমেরিকার শর্ট সেলিং সংস্থা হিন্ডেনবার্গ রিসার্চ এক রিপোর্টে দাবি করে, আদানি গ্রুপ কারচুপি করে নিজেদের শেয়ার দর বাড়িয়েছেন। পাশাপাশি আদানি গ্রুপের ঋণশোধের বিষয়টি নিয়েও উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছিল ওই রিপোর্টে। যদিও সেই রিপোর্টের দাবি নস্যাৎ করে আদানি গোষ্ঠী। কিন্তু তা সত্ত্বেও আদানি গ্রুপের শেয়ারে ধস নামা আটকায়নি।
আরও পড়ুন: < গুলিতে ‘ক্ষতভিক্ষত’ চিনা ‘গুপ্তচর’ বেলুন! পেন্টাগনকে অভিনন্দন বাইডেনের >
কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুর শনিবার বলেছেন ‘ব্যাঙ্ক এবং এলআইসি ইতিমধ্যেই আদানির মামলায় তাদের বিবৃতি জারি করেছে। এ ব্যাপারে সরকারের আড়াল করার কিছু নেই। তিনি বলেন, সাধারণ বাজেট নিয়ে যাতে আলোচনা না হয় সেজন্য বিরোধী দলগুলো সংসদে তোলপাড় করছে। অন্যদিকে, বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার বলেছেন, ‘আদানি মামলায় যতই অভিযোগ আনা হোক না কেন, তার তদন্ত হওয়া উচিত। আদানি বিতর্ক নিয়ে বিগত দিনগুলিতে সংসদে বিরোধীরা তোলপাড় সৃষ্টি করেছিল। বিরোধীদের দাবি, পুরো বিষয়টি তদন্তের জন্য একটি জেপিসি গঠন করা উচিত বা সুপ্রিম কোর্টের তত্ত্বাবধানে তদন্ত করা উচিত।