জিও ,এয়ারটে্ল ভোডাফোন আইডিয়াকে পিছনে ফেলে প্রতিযোগিতার বাজারে নিজেদের ভিত অনেকটাই শক্ত করতে চলেছে আদানি গ্রুপ। সূত্রের খবর ৫জি স্পেকট্রাম নিলেন অনুষ্ঠানে ইতিমধ্যেই তিনটি সংস্থা তাদের আবেদনপত্র জমা দিয়েছে। চতুর্থ সংস্থা হিসাবে আবেদনপত্রে উঠে এসেছে বিলিয়নিয়ার গৌতম আদানির গ্রুপের নাম।
যদিও এব্যাপারে ফোন এবং ইমেল করা হলেও তার কোন উত্তর মেলেনি। গতকালই ছিল আবেদনপত্র জমা দেওয়ার শেষ তারিখ। আর তাতেই জিও, এয়ারটেল এবং ভিআই ছাড়াও আরও একটি সংস্থা ৫ জি স্পেকট্রাম নিলামের জন্য আবেদন জানিয়েছে।
আদানি গোষ্ঠী ২৬ জুলাই 5G স্পেকট্রাম নিলামে যদি অংশ নেয়, তবে এটিই হবে আম্বানির সঙ্গে আদানির প্রথম সরাসরি প্রতিযোগিতা। ৪জি মোবাইল সার্ভিস দিয়েই বাজারে পা রেখেছিল জিও। এবার ৫ জি পরিষেবার শুরুতেই আদানি গোষ্ঠীর উপস্থিতি ঘিরে জোরালো হচ্ছে জল্পনা।
৫জি স্পেকট্রাম নিলামের জন্য সময়সীমা বেঁধে দিয়েছে কেন্দ্র। যাঁরা আবেদন করেছেন তাঁদের ব্যাপারে ১২ জুলাই তথ্য প্রকাশ করা হবে। সরকার মোট ৭২,০৯৭.৮৫ মেগাহার্টজ স্পেকট্রাম নিলাম করতে চলেছে। এর মূল্য প্রায় ৪.৩ লক্ষ কোটি টাকা।
আরও পড়ুন: <পয়গম্বর বিতর্কের রেশ! ভয়ঙ্কর সাইবার হানার মুখে দেশ, জারি চুড়ান্ত সতর্কতা>
এই নিলামের আওতায় লো ফ্রিকোয়েন্সি ব্র্যান্ড (৬০০ MHz, ৭০০MHz, ৮০০ MHz, ৯০০ MHz, ১৮০০ MHz, ২১০০ MHz, ২৩০০ MHz), মিড ফ্রিকোয়েন্সি ব্র্যান্ড (৩৩০০ MHz) এবং হাই ফ্রিকোয়েন্সি ব্রান্ড (২৬ GHz) এই স্পেকট্রাম নিলামের আওতায় আনা হবে।
আম্বানি এবং আদানি দুজনেই গুজরাতি শিল্পপতি। বিভিন্ন ক্ষেত্রে তারা কাজ করেছেন তবে তাঁদের দুজনের মধ্যে সেভাবে সরাসরি কোন প্রতিযোগিতা নেই। আম্বানির রিলায়েন্স গ্রুপ তেল ও পেট্রোকেমিক্যাল ব্যবসা থেকে টেলিকম এবং খুচরা ব্যবসায় একের পর এক বিনিয়োগ করেছে।
অন্যদিকে আদানি গোষ্ঠী বন্দর, কয়লা, বিদ্যুৎ, বিমান চলাচলে বিনিয়োগ করেছে। তবে যদি ৫ জি স্পেকট্রামে উভয় গোষ্ঠী তাদের আবেদন জমা দেন তবে এটাই হবে আম্বানি- আদানির সরাসরি প্রতিযোগিতা। সম্প্রতি আদানি গোষ্ঠী ন্যাশানাল লং ডিসট্যান্স এবং ইন্টারন্যাশানাল লং ডিস্ট্যানন্সের লাইসেন্স পেয়েছে।