বুলন্দশহরে হিংসার ঘটনায় আবারও পুলিশ মহলে বড়সড় রদবদল ঘটল। কোপে পড়লেন আরও এক পুলিশ আধিকারিক। এবার বদলি করা হল অতিরিক্ত পুলিশ সুপার(গ্রামীণ) রইস আখতারকে। তাঁর পরিবর্তে ওই পদে দায়িত্ব সামলাবেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মণীশ মিশ্র। এর আগে আরও তিন পুলিশ আধিকারিককে বদলি করার নির্দেশ দিয়েছিল যোগী সরকার।
এ ঘটনায় আগেই বদলি করা হয়েছে সিনিয়র পুলিশ সুপার কৃষ্ণ বাহাদুর সিংকে। তাঁকে লখনউয়ে ডিজি সদর কার্যালয়ে পাঠানো হয়েছে। তাঁর পরিবর্তে ওই পদে দায়িত্ব সামলাবেন সীতাপুরের পুলিশ সুপার প্রভাকর চৌধুরি। কৃষ্ণ বাহাদুরের পাশাপাশি বদলি করা হয়েছে সিয়ানা সার্কেল অফিসার ডিএসপি সত্যপ্রকাশ শর্মাকে। তাঁকে মোরাদাবাদে পুলিশ ট্রেনিং কলেজে পাঠানো হয়েছে। চিংড়াবতী থানার ইন-চার্জ সুরেশ কুমারকে সরানো হয়েছে ললিতপুরে। উল্লেখ্য, এ ঘটনায় উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথকে রিপোর্ট পেশ করেন এডিজি এসবি শিরোদকর। সেই রিপোর্ট পেশের পরই পুলিশ মহলে রদবদল করা হল।
আরও পড়ুন, বুলন্দশহরের ঘটনায় দুই পুলিশ আধিকারিককে বদলি
এদিকে, ইন্সপেক্টর খুনে এখনও পর্যন্ত ১০ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। মূল অভিযুক্ত যোগেশ রাজ এখনও পলাতক বলে জানা গিয়েছে। বুলন্দশহরে হিংসার ঘটনায় নাম জড়িয়েছে ভারতীয় সেনার। এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগ উঠেছিল এক সেনা জওয়ানের বিরুদ্ধে। শনিবার অবশেষে সেই সেনা জওয়ানকে আটক করে পুলিশ। শনিবার জম্মু-কাশ্মীরের সোপোর শহর থেকে জিতেন্দ্র মালিক ওরফে জিতু ফৌজিকে আটক করা হয়েছিল। পরে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে সংবাদসংস্থা এএনআইকে জানিয়েছেন পুলিশের শীর্ষ আধিকারিক অভিষেক সিং।
বুলন্দশহরে পুলিশ আধিকারিকের মৃত্যু একটা দুর্ঘটনা মাত্র, গণপিটুনি নয় বলে দাবি করেছেন উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ। যা নিয়েও শুরু হয়েছে বিতর্ক।
Read the full story in English