scorecardresearch

‘মন্দ আলোয় ভারতীয়দের ছবি তুলতে পারছি না,’ অস্ট্রেলিয়ার পোস্ট অফিসে বর্ণবিদ্বেষী সাইনবোর্ড

ক্ষমা চাইলেও এই সাইনবোর্ডের পক্ষে যুক্তিও দাঁড় করানোর চেষ্টা করেছে অস্ট্রেলিয়া পোস্ট।

Australia_Post

ফের বর্ণবিদ্বেষের অভিযোগে কাঠগড়ায় অস্ট্রেলিয়া। এখানকার বিখ্যাত অ্যাডিলেড রুন্ডল মলে পোস্ট অফিসের বাইরে রীতিমতো স্ট্যান্ডিং সাইনবোর্ড দিয়ে বর্ণবিদ্বেষী মন্তব্যের অভিযোগ উঠেছে। যে সাইনবোর্ডে লেখা আছে, ‘আলো এবং ব্যাকগ্রাউন্ডের গুণগত মান ভালো না-থাকায় আমরা দুর্ভাগ্যজনক হলেও ভারতীয়দের ছবি তুলতে পারছি না! কাছাকাছি ছবি তোলার জায়গা রয়েছে ১২০, গ্রেনফেল স্ট্রিট-এ। এই অসুবিধার জন্য আমরা দুঃখিত।’

অ্যাডিলেডে প্রচুর ভারতীয় বাস করেন। এই ব্যানারে যে কথা লেখা আছে, তা যেন চোখে দেখেও বিশ্বাস করতে পারছেন না প্রবাসী ভারতীয়রা। গোটা ব্যাপারটায় তাঁরা শঙ্কিত। বিষয়টি তাঁদের কাছে অবর্ণনীয় বলেই জানিয়েছেন অ্যাডিলেডের ভারতীয় বংশোদ্ভূত এবং ভারতীয়রা।

ঘটনার জেরে সমালোচনার ঢেউ ওঠায় ক্ষমা চেয়ে নিয়েছে অস্ট্রেলিয়া পোস্ট। তারা ওই সাইনবোর্ড সরিয়ে নেবে বলেও কথা দিয়েছে। কিন্তু, বিষয়টিকে সহজে ছাড়তে দিতে নারাজ প্রবাসী ভারতীয়রা। তাঁরা প্রশ্ন তুলেছেন, ‘বেছে বেছে কেবল এখানে ভারতীয়দেরই উল্লেখ করা হল কেন? আমরা ব্যাপারটা মোটেই খোলা মনে নিচ্ছি না।’ রাজেন্দ্র পাণ্ডে নামে স্থানীয় ভারতীয়দের এক নেতা এই প্রসঙ্গে বলেন, ‘আমার মনে হয়, ওরা আমার শরীরের বর্ণের কথা বোঝাতে চেয়েছে। অন্যান্য অনেকের মতই ব্যাপারটা আমার গায়ে লেগেছে।’

আরও পড়ুন- সৌদির যুবরাজের ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার, মোদীর উদাহরণ টানল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র

অস্ট্রেলিয়া পোস্ট অবশ্য বিষয়টিকে অন্যভাবে ব্যাখ্যা করেছে। তারা জানিয়েছে, অস্ট্রেলিয়া পোস্টের দেওয়া বেশ কয়েকজন কাস্টমারের ছবি ভারতীয় দূতাবাস গ্রহণ করেনি। সেই কারণেই তারা এমন সাইনবোর্ড টাঙিয়েছে। কিন্তু, ইতিমধ্যে ব্যাপারটা নিয়ে ব্যাপক জলঘোলা হয়েছে। গ্রিনওয়ের ফেডারেল লেবার সদস্য, এনএসপি লেবার পার্টির প্রেসিডেন্ট তথা যোগাযোগ মন্ত্রী মাইকেল রোল্যান্ড অস্ট্রেলিয়া পোস্টকে বিষয়টি নিয়ে লিখেছেন।

তা ছাড়াও বহু নেতা ও রাজনীতিবিদ এব্যাপারে অস্ট্রেলিয়া পোস্টের কড়া সমালোচনা করেছে। স্থানীয় ভারতীয়রা মনে করছেন, হয় এটি ইচ্ছাকৃত পদ্ধতিগত জাতিবিদ্বেষ। না-হলে এটা কোনও শিক্ষাগত ত্রুটি। যে ত্রুটি রয়েছে অস্ট্রেলিয়া পোস্টের কর্মীদের। আর, এই ত্রুটি দূর করতে অস্ট্রেলিয়ার প্রত্যেককে যে কোনও চাকরি পাওয়ার আগে IELTS-এ ৮ ব্যান্ডের স্কোর করে দেখাতে হবে। এই নির্দেশ বাধ্যতামূলক করা হোক।

Read full story in English

Stay updated with the latest news headlines and all the latest General news download Indian Express Bengali App.

Web Title: Adelaide post office sparks row