Maharashtra Corona: শুধুমাত্র মুম্বইয়ের করোনা সংক্রমণ নিয়ে বড়সড় উদ্বেগের কথা জানালেন আদিত্য ঠাকরে। সেই রাজ্যের পরিবেশ মন্ত্রীর অনুমান, ‘কয়েক দিনের মধ্যেই শহরের দৈনিক সংক্রমণ গড়ে ২০০০ পার করবে। গত সপ্তাহে মুম্বইয়ে দৈনিক সংক্রমণ ছিল ১৫০। চলতি সপ্তাহের সেই সংখ্যা দুই হাজার ছুঁইছুঁই।‘
ইতিমধ্যে সেই রাজ্যের স্বাস্থ্যমন্ত্রী রাজেশ তোপ মহারাষ্ট্রে বেড়ে চলা সংক্রমণ নিয়ে আশঙ্কা প্রকাশ করেন। করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধে প্রশাসন এবং মানুষকে আরও সচেতন হতে আবেদন জানান তিনি। এদিকে, ওমিক্রনের প্রভাবে স্বল্পমেয়াদী কোভিড ঢেউ দেখতে পারে ভারত। কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের এক অধ্যাপক এই সম্ভাবনাই উসকে দিয়েছেন। পল কাত্তুম্যান নামে ওই অধ্যাপক নিজে এবং কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্যোগে একটা কোভিড ইন্ডিয়া ট্র্যাকার তৈরি করেছেন। সেই প্রসঙ্গে স্বাস্থ্য মন্ত্রককে পাঠানো এক ই-মেলে স্বল্প মেয়াদী কোভিড ঢেউয়ের সম্ভাবনা তুলে ধরেছেন।
তিনি লেখেন, ‘আগামি কয়েকদিনে মধ্যেই ভারতে একধাক্কায় অনেকটা বাড়তে পারে করোনার দৈনিক সংক্রমণ এবং আক্রান্তের হার। তবে এই বৃদ্ধি সাময়িক হবে। স্বল্পমেয়াদী কোভিড ঢেউয়ের মধ্যে দিয়ে যেতে পারে দেশ।‘
পাশাপাশি, উদ্বেগ বাড়িয়ে ভারতে ওমিক্রন আক্রান্তের সংখ্যা ৮০০ ছুঁইছুঁই। সবচেয়ে বেশি রাজধানী দিল্লিতে। বুধবার কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের বুলেটিন অনুযায়ী, দেশের দৈনিক করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ৯১৯৫। গতকালের থেকে প্রায় ৩ হাজার বেশি। দেশের সক্রিয় রোগীর সংখ্যা বেড়ে হল ৭৭,০০২।
গতকাল দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ৬৩৫৮। একলাফে আজ অনেকটাই বেড়েছে দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে আক্রান্তের সংখ্যা ৪৪ শতাংশ বেড়েছে। ওমিক্রন আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ৭৮১। দেশের ২১টি রাজ্যে ছড়িয়ে পড়েছে করোনার এই নয়া প্রজাতি।
ভারতে সবচেয়ে বেশি ওমিক্রন আক্রান্ত ছিল মহারাষ্ট্রে। বুধবার মহারাষ্ট্রকে সরিয়ে প্রথম স্থানে চলে এসেছে দিল্লি। রাজধানীতে এখন ওমিক্রন আক্রান্তের সংখ্যা ২৩৮। তার পরেই আছে মহারাষ্ট্র। সেখানে আক্রান্ত ১৬৭। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে সুস্থ হয়েছেন ৭৩৪৭ জন। আক্রান্তের তুলনায় অনেকটাই কম। দেশে এখনও পর্যন্ত মোট সুস্থ হয়েছেন ৩ কোটি ৪২ লক্ষ ৫১ হাজার ২৯২ জন।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন