দত্তক নেওয়া ভারতীয় শিশু শিরিন ম্যাথুজকে খুন করার অভিযোগে তার পালক পিতা ওয়েসলি ম্যাথুজকে যাবজ্জীবন কারাদন্ডের নির্দেশ দিল আমেরিকার একটি আদালন। ২০১৭ সালে তিন বছরের ওই শিশুকন্যাকে হত্যা করেন ওয়েসলি। আদালতে একাধিকবার তিনি আত্মপক্ষ সমর্থনের চেষ্টা করলেও ডালাসের ওই আদালত তাঁর যুক্তি মানে নি।
বৃহস্পতিবার বিচারপতিরা জানান, মেডিক্যাল রিপোর্ট এবং অন্যান্য প্রমাণের ভিত্তিতে খুনের বিষয়টি স্পষ্ট হয়েছে। প্রসঙ্গত, এই মামলায় একাধিকবার বয়ান বদল করেছেন ওয়েসলি। আদালত এদিন জানিয়েছে, টানা ৩০ বছর জেলে থাকতে হবে তাঁকে। তারপর তিনি প্যারোলে মুক্তির আবেদন করতে পারবেন।
আরও পড়ুন, তবরেজ আনসারি হত্যার দায়ে অভিযুক্ত কারা?
২০১৬ সালে ভারতে এসেছিলেন ওয়েসলি এবং তাঁর স্ত্রী সিনি। সে সময় বিহারের একটি অনাথ আশ্রম থেকে ছোট্ট শিরিনকে দত্তক নেন তাঁরা। মাত্র এক বছরের মাথায় ২০১৭ সালে রহস্যজনকভাবে মৃত্যু হয় ওই শিশুকন্যার। এই মামলার শুরুতে ওয়েসলি বলেছিলেন, শিরিন দুধ খেতে না চাওয়ায় শাস্তি হিসাবে তাকে একটি গাছের নীচে দাঁড়িয়ে থাকতে বলেছিলেন। মিনিট পনেরো পর ফিরে এসে তিনি দেখেন শিরিন বেপাত্তা। এরপর তিনি বয়ান বদলে দাবি করেন, তিনি শিরিনকে নিজে হাতে দুধ খাওয়াচ্ছিলেন। সেই সময় গলায় দুধ আটকে মৃত্যু হয়েছে ওই শিশুকন্যার। প্রসঙ্গত, ঘটনার প্রায় দু-সপ্তাহ পরে একটি কালভার্টের নীচ থেকে ওই একরত্তি শিশুকন্যার বিকৃতপ্রায় মৃতদেহ উদ্ধার করে একটি কুকুর।
আদালতে শুনানি চলাকালীন তদন্তকারী পুলিশ আধিকারিক শেরি টমাস দাবি করেন, অভিযুক্ত পালক পিতা মিথ্যা বলছেন। মেডিক্যাল রিপোর্ট অনুযায়ী তিন বছরের শিশুর গলায় দুধ আটকে মৃত্যু সম্ভব নয়। ওয়েসলি নিজেই তাকে খুন করেছেন। পরে ধরা পড়ার ভয়ে তিনি বারবার বয়ান বদল করেছেন। এমনকি, শিশুটিকে হত্যার দিনই স্ত্রী ও নিজের ঔরসজাত সন্তানকে নিয়ে ডিনার করতেও গিয়েছিলেন ওই ব্যক্তি।
Read the full story in English