ভারত সরকারের কাছ থেকে যথাযথ সমর্থনের অভাব, এমনই অভিযগে ভারতে বন্ধ হয়ে গেল আফগান দূতাবাস। আজ থেকে বন্ধ হতে চলেছে সকল প্রকারের কার্যক্রম।
আফগানিস্তান আজ থেকে ভারতে তাদের দূতাবাস বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আফগানিস্তান বলেছে যে ভারতের সঙ্গে অংশীদারিত্বের কথা মাথায় রেখে সতর্কতামূলক আলোচনার পরেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ভারতে আফগানিস্তানের দূতাবাসের নেতৃত্বে ছিলেন রাষ্ট্রদূত ফরিদ মামুন্দজে। আশরাফ গনি সরকার তাঁকে রাষ্ট্রদূত হিসাবে নিয়োগ করেছিলেন।
ভারতে বন্ধ হয়ে গেল আফগানিস্তানের দূতাবাস। আজ, রবিবার থেকেই তালিবান শাসিত ইসলামিক রিপাবলিক অব আফগানিস্তানের দূতাবাস বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। শনিবারই বিবৃতি জারি করে এই ঘোষণা করা হয়। দূতাবাস বন্ধের কারণ হিসাবে ভারতের বিরুদ্ধে অসহযোগিতার অভিযোগ এনেছে আফগান সরকার।
দূতাবাস বন্ধের বিবৃতিতে এক্সে আফগানিস্তানের তরফে লেখা হয়েছে, “অত্যন্ত দুঃখ, অনুশোচনা ও হতাশার সঙ্গে জানানো হচ্ছে যে নয়া দিল্লিতে আফগানিস্তান দূতাবাসের পরিষেবা বন্ধের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে”। ভারত সরকারের কাছ থেকে যথাযথ সহযোগিতা না পাওয়া এবং আফগানিস্তানের স্বার্থ পূরণে ব্যর্থতাকেই দূতাবাস বন্ধের কারণ হিসাবে তুলে ধরা হয়েছে।
রবিবার সকালে আফগান দূতাবাস এক বিবৃতিতে বলেছে, " গভীর দুঃখ, অনুশোচনা এবং হতাশার সঙ্গে আমরা ঘোষণা করছি যে নয়াদিল্লিতে আফগানিস্তানের দূতাবাস তাদের কার্যক্রম বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।" দূতাবাস বলেছে, "আফগানিস্তান ও ভারতের মধ্যে ঐতিহাসিক সম্পর্ক এবং দীর্ঘমেয়াদী অংশীদারিত্ব বিবেচনা করে এই সিদ্ধান্ত অত্যন্ত দুঃখজনক।"
এর পাশাপাশি আফগান দূতাবাস তাদের বিবৃতিতে সঠিকভাবে কাজ চালাতে না পারার কারণও ব্যাখ্যা করেছে। বিবৃতিতে বলা হয়, দুর্ভাগ্যজনক সিদ্ধান্তের মূল কারণ সহযোগিতার অভাব। এ ছাড়া দূতাবাসের কর্মকর্তারাও বলেছেন আফগানিস্তানের স্বার্থ পূরণে ব্যর্থতার কারণেই বন্ধ করে দিতে হচ্ছে আফগান দূতাবাস।
দূতাবাসের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, অন্তত পাঁচজন আফগান কূটনীতিক ইতিমধ্যেই ভারত ছেড়েছেন। তবে আফগান দূতাবাস চত্বরে আফগান পতাকা রাখার দাবি জানিয়েছেন তারা। এটিই প্রথম নয় যে নয়াদিল্লিতে আফগান দূতাবাস কাজ বন্ধ করে দিয়েছে। এর আগে ২০২১ সালেও আফগান দূতাবাস বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল।