দিল্লির শ্রদ্ধা হত্যাকাণ্ডে নয়া মোড়। সামনে এল ময়নাতদন্তের রিপোর্ট। ধারালো করাত ব্যবহার করেই বান্ধবী শ্রদ্ধার দেহ একের পর টুকরো করে আফতাব। জঙ্গল থেকে উদ্ধার হওয়া শ্রদ্ধার হাড় গুলির ডিএনএ নমূনা ইতিমধ্যেই সামনে এসেছে। ময়নাতদন্তে জানা গেছে, আফতাব করাত দিয়ে শ্রদ্ধার দেহাংশ টুকরো টুকরো করে ফেলে। এর পরই সেগুলি জঙ্গলে ফেলে আসে আফতাব।
দিল্লি পুলিশ ইতিমধ্যেই হাতে পেয়েছে ২৩টি হাড়ের নমূনা। যেগুলির ময়নাতদন্তের রিপোর্ট সামনে এসেছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট বিশ্লেষণে দেখা গেছে, করাত দিয়েই দেহাংশ টুকরো টুকরো করে ফেলে আফতাব। মঙ্গলবার এইমস রিপোর্টটি পুলিশের কাছে হস্তান্তর করেছে। এখন এই মামলায় পুলিশ জানুয়ারির শেষ সপ্তাহে আদালতে চার্জশিট পেশ করবে।
পুলিশ সূত্রে খবর, কোন কিছু করাত দিয়ে কাটা হলে করাতের চিহ্ন তাতে থেকে যায়। কাটা অংশ কিছুটা ‘রুক্ষতা’ও থাকে। পুলিশ জানিয়েছে, শ্রদ্ধার হাড়েও একই ধরনের চিহ্ন পাওয়া গেছে। এমন অবস্থায় সব হাড় বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে করাত দিয়ে সারা শরীর কেটে ফেলা হয়।
পুলিশ জানিয়েছে যে মেহরাউলি এবং গুরুগ্রামের বিভিন্ন জায়গা থেকে উদ্ধার হওয়া হাড়গুলির ডিএনএ গত মাসেই করা হয়েছিল। এই হাড়গুলোর ডিএনএ রিপোর্ট মিলেছে শ্রদ্ধার বাবার ডিএনএর সঙ্গে। এই সব হাড়ের ডিএনএ ম্যাচ করা হয়েছে। পুলিশ জানায়, ফ্ল্যাটে পাওয়া রক্তের দাগের ডিএনএর সঙ্গে হাড়ের ডিএনএও মিলেছে।
লিভ-ইন পার্টনার আফতাব ১০ মে নিজেই শ্রদ্ধাকে হত্যা করেন। এরপর দুই দিনে দেহ কেটে ৩৫টি টুকরো করে পরবর্তী ১৮দিন ধরে দেহাংশ গুলি ফেলে আসে মেহরাউলি এবং গুরুগ্রামের বিভিন্ন এলাকায়। এই ঘটনায় গত ২৬ নভেম্বর আসামি আফতাবকে গ্রেফতার করে পুলিশ। এরপর থেকে তিনি বিচার বিভাগীয় হেফাজতে রয়েছেন।