বালাসোর ট্রেন দুর্ঘটনার তদন্তে নেমে ইতিমধ্যেই কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই তিন রেলকর্মীকে গ্রেফতার করেছে। এবার রেল মন্ত্রক সময়মতো সতর্ক না-থাকায় আরও চার রেলকর্মীকে সাসপেন্ড করল। এই ব্যাপারে দক্ষিণ-পূর্ব রেলের আধিকারিক জানিয়েছেন, শুক্রবারই সাসপেনশন অর্ডার ইস্যু করা হয়েছে। তবে, কাদের সাসপেন্ড করা হল- সেই ব্যাপারে খোলসা করতে চাননি রেলের কর্তারা।
গত ২ জুন ওড়িশার বালাসোর জেলার বাহানাগা বাজার স্টেশনে দুর্ঘটনাটি ঘটেছিল। মোট তিনটি ট্রেন দুর্ঘটনার মুখে পড়েছিল। তার মধ্যে একটি হয়েছিল চেন্নাইগামী করমণ্ডল এক্সপ্রেস লুপলাইনে ঢুকে পড়ায়। ট্রেনটি এক দাঁড়িয়ে থাকা মালবোঝাই মালগাড়িকে ধাক্কা মেরেছিল। যার জেরে করমণ্ডল এক্সপ্রেস ট্রেনের বগি লাইনচ্যুত হয়ে অন্য লাইনে চলে গিয়েছিল। আর, সেই বগিতে এসে ধাক্কা মেরেছিল হাওড়াগামী যশবন্তপুর এক্সপ্রেস।
এই দুর্ঘটনায় মোট ২৯৩ জন প্রাণ হারিয়েছিলেন। আহত হয়েছিলেন হাজার জনেরও বেশি। দুর্ঘটনার একমাস পরে ৪১টি শবদেহ এখনও মৃতদের পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া যায়নি। কারণ, একাধিক পরিবার শবগুলো তাঁদের বলে দাবি করেছে। সেই কারণে দেহের ডিএনএ পরীক্ষা করতে দেওয়া হয়েছে। এখনও তার ফলাফল আসেনি। সিবিআই হেফাজতে থাকা তিন ব্যক্তি ছাড়াও দুর্ঘটনার দিন কর্তব্যে গাফিলতির অভিযোগে স্টেশন মাস্টার, বালাসোরের ট্রাফিক ইনস্পেক্টর, সিগনাল টেকনিশিয়ান এবং সহকারি ডিভিশনাল সিগনাল এবং টেলিকম ইঞ্জিনিয়ারের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন- পাখির চোখ লোকসভা নির্বাচন, নতুন প্রকল্পে ওড়িশাবাসীর মন জয়ের চেষ্টা নবীনের
দক্ষিণ পূর্ব রেলের জেনারেল ম্যানেজার অনিলকুমার মিশ্র বুধবার বালাসোরে সাংবাদিকদের বলেন, 'তিনজনকে ইতিমধ্যেই সিবিআই গ্রেফতার করেছে। আর, পরবর্তীতে নিয়ম অনুসারে তাঁদের বরখাস্ত করা হয়েছে। রেল প্রশাসন আরও চার কর্মচারীকে সাসপেন্ড করেছে। সতর্ক না-হওয়ায় তাঁদের সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। ওই কর্মীরা সতর্ক থাকলে মর্মান্তিক এই দুর্ঘটনা এড়ানো যেত।' মিশ্র জানান, সিবিআই ইতিমধ্যেই এই মামলার তদন্ত করছে। মূল কারণ খুঁজে বের করার চেষ্টা করছে। সিবিআইয়ের সেই রিপোর্ট পাওয়ার অপেক্ষায় রয়েছে রেল মন্ত্রক। রিপোর্ট অনুযায়ী, যাবতীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।