দীর্ঘ ৩৬ বছর ধরে ভারতীয় নৌবাহিনীর প্রথম সারির ক্ষেপনাস্ত্র ধ্বংসকারীর পদে কাজ করে এবার অবসরের পথে আইএনএস রণজিৎ। আগামী ৬ মে বিশাখাপত্তনমে 'ডিকমিশন' করা হবে এই যুদ্ধজাহাজটিকে।
১৯৮৩ সালের ১৫ সেপ্টেম্বর ক্যাপ্টেন বিষ্ণু ভগবতের নেতৃত্বে আইএনএস রণজিতের অভিষেক ঘটে। কার্গিল যুদ্ধের সময় আইপিকেএফ এবং তলোয়ার অপারেশন এবং আরও কিছু সামরিক কাজে এই যুদ্ধ জাহাজটিকে ব্যবহার করা হয়েছিল।
কে এই আইএনএস রণজিৎ?
যুদ্ধজাহাজ রণজিৎ
জন্ম রাশিয়াতে। নাম ছিল- লভক্লি। কাশিন ক্লাস ডেস্ট্রয়ার শ্রেণির এই জাহাজটি তৈরি হয়েছিল ইউক্রেনে ১৯৭৭ সালে। ১৯৮৩ সালের সেপ্টেম্বর মাসে ডুবোজাহাজ-ধ্বংসকারী এই জাহাজটি ভারতের হাতে আসে। ৪৮২ফুট দৈর্ঘ্যের এই জাহাজটি অংশ নিয়েছিল কার্গিল যুদ্ধে। ১৯৮৩ সালের ১৫ সেপ্টেম্বর ক্যাপ্টেন বিষ্ণু ভাগওয়াতের নেতৃত্বে জাহাজটিকে আইএনএস রণজিৎ হিসাবে নৌবাহিনীতে গ্রহণ করা হয়।
"সদা রণ জয়তে"- এই ছিল যুদ্ধজাহাজটির মূল নীতি। সেই নীতিতে অবিচল থেকেই ভারতবর্ষকে নিরাপদে রাখতে বিভিন্ন অপারেশনে অংশগ্রহণ করেছে আইএনএস রণজিৎ। এর মধ্যে প্রধান কীর্তি অবশ্যই কার্গিল যুদ্ধের সময় আইপিকেএফ এবং তলোয়ার অপারেশন। এছাডড়া ২০০৩ সালে আফ্রিকান ইউনিয়নের শীর্ষ সম্মেলনে নিরাপত্তার জন্য মোজাম্বিকেতে জাহাজটিকে সাময়িকভাবে মোতায়েনও করা হয়েছিল।
আরও পড়ুন- ফণী সতর্কতায় কলকাতা বিমানবন্দরে আজ থেকে বিমান ওঠানামা বন্ধ
উল্লেখ্য, ২০০৪ সালে সুনামি ও ঘূর্ণিঝড় হুদ-হুদের পর নৌবাহিনীতে ত্রাণ অভিযানের অংশ হিসাবেও সক্রিয়ভাবে নিযুক্ত করা হয় রণজিৎ-কে। নথি বলছে, এই কর্তব্য ও দীর্ঘ লড়াইয়ের স্বীকৃতি স্বরূপ রণজিতকে ২০০৩-০৪ এবং ২০০৯-১০ সালে নৌবাহিনীর পক্ষ থেকে এই জাহাজটিকে সর্বোচ্চ সম্মানে ভূষিত করা হয়।
প্রসঙ্গত, গত মাসে ভারতীয় নৌবাহিনীর মুম্বাইয়ের ম্যাজাগন ডক থেকে প্রজেক্ট ১৫-বি প্রকল্পের তৃতীয় ক্ষেপণাস্ত্র ধ্বংসকারী জাহাজ আইএনএস 'ইম্ফল' নৌবাহিনীতে যোগদান করেছে।
Read the full story in English