আমেদাবাদ বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যাপনা করবেন না 'ভারত-বিদ্বেষী' ঐতিহাসিক রামচন্দ্র গুহ

আমেদাবাদ বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক হিসেবে ঘোষণা করা হয় ঐতিহাসিক রামচন্দ্র গুহর নাম। দু'দিনের মধ্যেই অখিল ভারতীয় বিদ্যার্থি পরিষদের পক্ষ থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের সিদ্ধান্তের তীব্র বিরোধিতা করা হয়।

আমেদাবাদ বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক হিসেবে ঘোষণা করা হয় ঐতিহাসিক রামচন্দ্র গুহর নাম। দু'দিনের মধ্যেই অখিল ভারতীয় বিদ্যার্থি পরিষদের পক্ষ থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের সিদ্ধান্তের তীব্র বিরোধিতা করা হয়।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
NULL

ঐতিহাসিক রামচন্দ্র গুহ

আগামী বছরের শুরুতে আমেদাবাদ বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যাপনায় যোগ দেওয়ার কথা ছিল ঐতিহাসিক, জীবনিকার এবং লেখক রামচন্দ্র গুহর। বৃহস্পতিবার তিনি টুইট করে জানালেন কিছু সমস্যার কারণে অধ্যাপনা করতে পারবেন না তিনি।  রাজনীতিকরা মনে করছেন সপ্তাহ দুয়েক আগে আরএসএস-এর পক্ষ থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক হিসেবে তাঁর নিয়োগের প্রতিবাদ করার প্রতিক্রিয়া হিসেবেই প্রস্তাব ফিরিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন ঐতিহাসিক।

Advertisment

১৬ অক্টোবর আমেদাবাদ বিশ্ববিদ্যালয়ের গান্ধী উইন্টার স্কুল এবং শ্রেনিক লালভাই চেয়ার প্রফেসর অ্যান্ড ডিরেক্টর হিসেবে ঘোষণা করা হয় ঐতিহাসিক রামচন্দ্র গুহর নাম। দু'দিনের মধ্যেই অখিল ভারতীয় বিদ্যার্থি পরিষদের পক্ষ থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের সিদ্ধান্তের তীব্র বিরোধিতা করা হয়।

আরও পড়ুন, অসমে খুন ৫ বাংলাভাষী দিনমজুর, ক্ষুব্ধ মমতার প্রশ্নের মুখে এনআরসি

Advertisment

এই প্রসঙ্গে আমেদাবাদের এবিভিপি-র সেক্রেটারি প্রবীণ দেশাই ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে জানিয়েছেন, "আমরা আমেদাবাদ বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রারের কাছে গিয়ে আমাদের দাবি জানিয়েছিলাম। বলেছিলাম আমরা বুদ্ধিজীবীদের চাই, ভারত-বিদ্বেষী কিমবা আর্বান নকশালদের চাই না। অ্যান্টি ন্যাশনাল শব্দটি ওনার বই থেকেই নিয়েছি আমরা। আমরা রেজিস্ট্রারকে জানিয়েছি, তাঁর মতো কমিউনিস্টকে আমাদের প্রতিষ্ঠানে ডাকলে এখানেও জেএনইউ-এর মতো পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে"। বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যকে এবিভিপি-র সদস্যরা লিখিত জানিয়েছেন, "রামচন্দ্র গুহ তাঁর লেখার মাধ্যমে বিভাজনের নীতিকে তুলে ধরেছেন। স্বাধীনতার নামে বিচ্ছিন্নতাকে প্রশ্রয় দিয়েছেন"।

আইআইএম ব্যাঙ্গালোরের-এর প্রাক্তন ডিরেক্টর রামচন্দ্র গুহ অবশ্য এই প্রসঙ্গে কোনো মতামত দেননি। টুইট করে ঐতিহাসিক জানিয়েছেন তাঁর নিয়ন্ত্রনে নেই, এমন কোনো সমস্যার জন্য তিনি আমেদাবাদ বিশ্ববিদ্যালয়ে যোগ দিচ্ছেন না। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতি শুভাকাঙ্ক্ষা জানিয়ে 'ইন্ডিয়া আফটার গান্ধী'-র লেখক প্রার্থনা করেছেন, মহাত্মার নিজের শহরে তাঁর আদর্শ যেন আবার জেগে ওঠে।

Read the full story in English