কয়েক দিন আগেই ঢাক-ঢোল পিটিয়ে কোভ্যাক্সিন ডোজ নিজের নিজের শরীরে প্রয়োগ করেছেন হরিয়ানার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। কিন্তু শনিবারই করোনায় আক্রান্ত হওয়ায় ভারত বায়োটেকের তৈরি এই করোনা ভ্যাকসিনের কার্যকারিতা নিয়ে দেশজুড়ে প্রশ্ন উঠে গিয়েছে। তাহলে কি যতটা মনে করা হচ্ছে, ততটা নিরাপদ নয় কোভ্যাক্সিন? এখন জনসাধারণকে দেওয়ার মতো অবস্থায় আসেনি এই ভ্যাকসিন? যাবতীয় বিতর্কে জল ছালতে শনিবার মুখ খুলল ভারত বায়োটেক। জানাল, দ্বিতীয় ডোজের ১৪ দিন পর ভ্যাকসিনের কার্যকারিতা বোঝা সম্ভব। সেটাও আবার প্রথম ডোজ দেওয়ার ১৪ দিন পর দ্বিতীয় ডোজ দেওয়া হয়। অর্থাৎ ২৮ দিন পর জানা যাবে কতটা সফল কোভ্যাক্সিন।
প্রসঙ্গত, অনিল ভিজ করোনায় আক্রান্ত হওয়ার কয়েক ঘণ্টা পরেই ভারত বায়োটেক এই সাফাই দেয়। দু-সপ্তাহ আগে প্রথম ডোজ নিয়েছিলেন অনিল ভিজ। অর্থাৎ ভারত বায়োটেকের দাবি অনুযায়ী, দ্বিতীয় ডোজ নেওয়ার আরও ১৪ দিন পর বোঝা যাবে কোভ্য়াক্সিনের কার্যকারিতা। এইভাবেই কোভ্যাক্সিন প্রস্তুত করা হয়েছে। তাই হরিয়ানার মন্ত্রী দ্বিতীয় ডোজ নেওয়ার পরই জানা যাবে কোভ্যাক্সিনের কার্যকারিতা। উল্লেখ্য, শনিবার টুইটবার্তায় অনিল ভিজ জানিয়েছেন, ‘করোনা পরীক্ষায় দেখা গিয়েছে আমি কোভিড পজিটিভ। আমি সিভিল আম্বালা ক্যানটনমেন্ট হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। বিগত কয়েকদিনে যাঁরা আমার কাছাকাছি এসেছেন তাঁদের করোনা পরীক্ষার আবেদন জানাচ্ছি।’
আরও পড়ুন ভ্যাকসিনের ট্রায়ালে অংশ নেওয়ার পরও কোভিড আক্রান্ত হরিয়ানার স্বাস্থ্যমন্ত্রী অনিল ভিজ
২০ নভেম্বর নিজের শরীরে পরীক্ষামূলকভাবে কোভ্যাকসিন প্রয়োগ করেন অনিল ভিজ। এরপর সুস্থই ছিলেন তিনি। ভ্যাকসিন নিয়ে তিনি জানিয়েছিলেন যে, ‘এটা গর্বের বিষয় যে ভারত বায়োটেকের মতো স্বদেশীয় সংস্থা করোনার ভ্যাকসিন তৈরির কাজ এগিয়ে এসেছে। মানুষের আতঙ্ক দূর করতে আমি নিজেই স্বেচ্ছাসেবক হিসাবে ভ্যাকসিনের ট্রায়ালে অংশ নিয়েছি।’ হরিয়ানার প্রথম স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে প্রথম এই ভ্যাকসিনের ট্রায়ালে অংশ নিয়েছিলেন অনিল ভিজ। কিন্তু তার পরেও করোনা আক্রান্ত হওয়ায় স্পষ্ট যে হরিয়ানার স্বাস্থ্যমন্ত্রীর শরীরে অ্যান্টিবডি তৈরি হয়নি।
Read the full story in English
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন