কাশির সিরাপে ক্ষতিকারক রাসায়নিক! বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার র‍্যাডারে ভারতে তৈরি সিরাপ, জারি সতর্কতা

দিন কয়েক আগেই আফ্রিকায় ৬৬ জন শিশুর মৃত্যু হয়। তারপরই এই কাশির সিরাপ ব্যবহারে সতর্কতা জারি করে বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থা।

দিন কয়েক আগেই আফ্রিকায় ৬৬ জন শিশুর মৃত্যু হয়। তারপরই এই কাশির সিরাপ ব্যবহারে সতর্কতা জারি করে বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থা।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
Tedros Adhanom Ghebreyesus, Director General WHO

চিনে ফের করোনার দাপটে কপালে ভাঁজ বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থার।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (WHO) র‍্যাডারে ভারতে তৈরি চারটি কাশির সিরাপ! এই সিরাপগুলি ব্যবহারে ইতিমধ্যেই একটি সতর্কতা জারি করেছে বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থা। কেন এই সতর্কতা? WHO জানিয়েছে এই সিরাপগুলির মধ্যে ক্ষতিকারক রাসায়নিক পাওয়া গেছে, যা বিষাক্ত এবং সম্ভাব্য মারাত্মক। দিন কয়েক আগেই আফ্রিকায় ৬৬ জন শিশুর মৃত্যু হয়। তারপরই এই কাশির সিরাপ ব্যবহারে সতর্কতা জারি করে বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থা।

Advertisment

ডাব্লুএইচও বলেছে, "গাম্বিয়াতে যে ৬৬ জন শিশুর মৃত্যুর ঘটনা সামনে এসেছে তার সঙ্গে সরাসরি এই কাশির সিরাপের যোগসূত্রের সম্ভাবনা রয়েছে। গোটা বিষয়টি তদন্ত করে খতিয়ে দেখা হচ্ছে”। 

মেইডেন ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেডের ভারতে তৈরি চারটি কাশির সিরাপ নিয়ে সাবধানতা জারি করেছে বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থা। এই চারটি সিরাপ হল প্রোমেথাজিন ওরাল সলিউশন, কোফ্যাক্সমালিন বেবি কফ সিরাপ, ম্যাকফ বেবি কফ সিরাপ এবং ম্যাগ্রিপ এন কোল্ড সিরাপ। এই সমস্ত সিরাপগুলি হরিয়ানার মেইডেন ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেডের তৈরি।

WHO-এর সতর্কবার্তায় বলা হয়েছে যে চারটি পণ্যের প্রতিটির নমুনার বিশ্লেষণ করে দেখা গিয়েছে, এই সিরাপগুলিতে ক্ষতিকারক ডায়েথিলিন গ্লাইকোল এবং ইথিলিন রয়েছে। যেগুলো সেবন করা মারাত্মক ক্ষতি ডেকে আনতে পারে। 

Advertisment

আরও পড়ুন: < ‘ভারত জোড়ো যাত্রা’য় আজ রাহুল গান্ধীর সঙ্গে পা মেলাবেন সনিয়া, দলীয় সমর্থকদের উচ্ছ্বাস! >

বিশেষ সতর্কতায় ডব্লিউএইচও বলেছে যে এই সমস্ত সিরাপ অনিরাপদ এবং সেগুলির ব্যবহারে বিশেষ করে শিশুদের গুরুতর অসুস্থতা বা মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে।  এছাড়াও বলা হয়েছে যে এই সিরাপ খেলে পেটে ব্যথা, বমি, ডায়রিয়া, মাথাব্যথা, মানসিক অবস্থার পরিবর্তন এবং কিডনির সমস্যার মত লক্ষণও দেখা দিতে পারে। যা অনেকক্ষেত্রেই মৃত্যুর কারণ হতে পারে।

ডব্লিউএইচও বলেছে যে এই সিরাপগুলির গুণমান ল্যাবে বিশ্লেষণ না করা পর্যন্ত এই পণ্যগুলির সমস্ত ব্যাচকে অনিরাপদ হিসাবে বিবেচনা করা উচিত। যদিও এই পণ্যগুলির মধ্যে চারটি গাম্বিয়াতে শনাক্ত করা হয়েছে, তবে আশঙ্কা করা হচ্ছে যে অন্যান্য দেশেও এই সিরাপ ইতিমধ্যেই পৌঁছে গিয়েছে। WHO আরও জানিয়েছে এই সিরাপ ইতিমধ্যেই যারা খেয়েছেন তাদের কোন রকম শারীরিক জটিলতা বা সমস্যা দেখা দিলে অবিলম্বেই ডাক্তারের সঙ্গে পরামর্শ করুন।

সতর্কতায় ডব্লিউএইচও আরও বলেছে, যদি আপনার কাছে যদি এই সিরাপ থাকে তাহলে এটি দয়া করে ব্যবহার করবেন না। আপনি বা আপনার পরিচিত কেউ যদি এই সিরাপ খেয়ে অসুস্থ বোধ করেন তাহলে অবিলম্বে ডাক্তারের সঙ্গে পরামর্শ করুন। একই সঙ্গে ঘটনাটি ন্যাশনাল রেগুলেটরি অথরিটি বা ন্যাশনাল ফার্মাকোভিজিল্যান্স সেন্টারে রিপোর্ট করার কথাও বলা হয়েছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান টেড্রোস আধানম ঘেব্রেয়ুস জানিয়েছেন যে ওই চারটি কাফ সিরাপের সঙ্গে কিডনি সংক্রান্ত সমস্যা এবং ৬৬জন শিশুর মৃত্যুর যোগাযোগ থাকতে পারে।

যদিও এর আগেই গাম্বিয়াতে  ৬৬ জন শিশুর মৃত্যুর ঘটনা সামনে আসতেই ওই কাশির সিরাপ ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা জারি করে গাম্বিয়া প্রশাসন। ভারতের তরফে সেন্ট্রাল ড্রাগস স্ট্যান্ডার্ড কন্ট্রোল অর্গানাইজেশন জানিয়েছে ওই সিরাপগুলি একমাত্র গাম্বিয়াতেই রপ্তানি করা হয়েছিল।

WHO WHO statement