বাণিজ্যনগরী মুম্বইয়ের দৈনিক সংক্রমণ দিন চারেক খানিকটা নিয়ন্ত্রণে ছিল। তবে গতকাল ফের একবার করোনার দৈনিক সংক্রমণের হাইজাম্প। বাণিজ্যনগরীতে গতকাল নতুন করে ১৬ হাজার ৪২০ জন করোনা আক্রান্ত হলেন। মুম্বইয়ের পজিটিভিটি রেটও ১৮.৭ শতাংশ থেকে বেড়ে ২৪.৩ শতাংশে পৌঁছেছে। মাহারাষ্ট্র জুড়ে নতুন করে উদ্বেগ বাড়াচ্ছে করোনা। মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরের আশঙ্কা, জানুয়ারির শেষ সপ্তাহে বা ফেব্রুয়ারির প্রথম সপ্তাহে রাজ্যে করোনর সংক্রমণ ব্যাপকভাবে বাড়তে পারে।
মহারাষ্ট্রে নতুন করে করোনা আক্রান্ত হওয়ার ঘটনা ৩৫ শতাংশের উপরে বেড়েছে। মঙ্গলবার রাজ্যের দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ৩৪ হাজার ৪২৪। বুধবার সেই পরিসংখ্যান বেড়ে হয়েছে ৪৬ হাজার ৭২৩। ক্রমাগত বাড়ছে করোনায় মৃত্যুর সংখ্যাও। সোমবার মহারাষ্ট্রে করোনায় মৃত্যু হয়েছিল আটজনের। মঙ্গলবার সেই সংখ্যা বেড়ে হয় ২২।
বুধবার মহারাষ্ট্রে করোনা আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে ৩২ জনের। রাজ্যের করোনা পরিস্থিতি নিয়ে খোদ মুখ্যমন্ত্রী ঘোর উদ্বেগে রয়েছেন। উদ্ধব ঠাকরে সংক্রমণ এড়াতে রাজ্যবাসীকে আরও বেশি সতর্ক থাকার পরামর্শ দিয়েছেন। চলতি মাসের শেষ সপ্তাহে অথবা ফেব্রুয়ারির শুরুতে রাজ্যে করোনার সংক্রমণ ব্যাপকভাবে বেড়ে যেতে পারে বলে মনে করছেন তিনি। এমনকী করোনা আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তির সংখ্যাও বেশ খানিকটা বেড়ে যেতে পারে বলে আশঙ্কা মুখ্যমন্ত্রীর।
আরও পড়ুন- কোভ্যাকসিনের বুস্টার ডোজ রুখে দিচ্ছে ওমিক্রন-ডেল্টাকে, দাবি ভারত বায়োটেকের
রাজ্যের করোনা পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরে বলেছেন, ''রাজ্যে ধীরে ধীরে মেডিক্যাল অক্সিজেনের ব্যবহার বাড়ছে। বর্তমানে এর ব্যবহার বেড়েছে প্রতিদিন প্রায় ৪০০ মেট্রিক টনে। যদি প্রতিদিন সাতশো মেট্রিক টন অক্সিজেনের প্রয়োজন হয়, তবে রাজ্যে কঠোর বিধিনিষেধ আরোপ করা দরকার।''
মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরে আরও বলেছেন "জেলা প্রশাসনের উচিত টিকা দেওয়ার কভারেজ বাড়ানো। অন্যান্য পরিকল্পনাও প্রস্তুত রাখতে হবে।'' বাণিজ্যনগরী মুম্বই ছাড়াও রাজ্যের গ্রামীণ এলাকাতে করোনার তৃতীয় ঢেউ আছড়ে পড়েছে বলে মন করছেন মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরে।
Read full story in English