প্রায় সপ্তাহখানেক ধরে পুলিশের চোখে ধুলো দিয়ে বেড়াচ্ছেন খালিস্তানপন্থী নেতা অমৃতপাল সিং। পাঞ্জাবের এই মোস্ট ওয়ান্টেড যুবককে গরু খোঁজা খুঁজছে পুলিশ। কিন্তু অমৃতপাল কখনও হরিয়ানা আবার কখনও দেশের সীমান্তে পেরিয়ে নেপালে পালিয়েছেন। সূত্রের খবর, নেপাল সরকারকে ভারত আর্জি জানিয়েছে, যাতে সেখান থেকে অন্য দেশে পালাতে না পারেন অমৃতপাল। এই নির্দেশের পরই নেপাল সরকার হাই অ্যালার্ট জারি করেছে।
জানা গিয়েছে, পলাতক অমৃতপালকে গ্রেফতার করতে এবার কোমর বেঁধেছে নেপাল পুলিশও। কাঠমাণ্ডুতে ভারতীয় দূতাবাস থেকে খবর যেতেই অমৃতপালের বিরুদ্ধে সমস্ত চেক পোস্ট, বিমানবন্দরে অভিবাসন দফতর থেকে হাই অ্যালার্ট জারি করা হয়েছে। শুরু হয়েছে নজরদারি। নেপালের অভিবাসন দফতরের তথ্য আধিকারিক কমল প্রসাদ পাণ্ডে জানিয়েছেন, আমাদের কাছে একটি চিঠি এবং অমৃতপালের পাসপোর্টের কপি এসেছে। মনে করা হচ্ছে নেপালে ঢুকেছে সে।
এর আগে রবিবারই অমৃতপাল এবং তাঁর সঙ্গী পাপলপ্রীত সিংয়ের ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে। মৌলবাদী এই নেতার আরেক সঙ্গী জাতীয় সুরক্ষা আইনে গ্রেফতার হয়েছে। গত ১৮ মার্চ থেকে পুলিশের চোখে ধুলো দিয়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন অমৃতপাল। তাঁর নাগাল পেতে গোটা পাঞ্জাব, হরিয়ানা চষে ফেলেছে পুলিশ। ওয়ারিস পাঞ্জাব দে নামে এক নিষিদ্ধ সংগঠনের মাথা অমৃতপাল।
আরও পড়ুন বিদেশের মাটিতে ‘খালিস্তানি তাণ্ডব’, ভারতীয় সাংবাদিককে হেনস্থা, ভিডিও ভাইরাল হতেই নিন্দার ঝড়
যদিও ভারতীয় দূতাবাস এই বিষয়ে মুখে কুলুপ এঁটেছে। তবে কাঠমাণ্ডুর একাধিক সংবাদপত্র ভারত সরকারের আর্জির কথা ছেপেছে। গত শনিবার ভারতীয় দূতাবাসের তরফে নেপাল সরকারকে লেখা চিঠির কথা জানানো হয়েছে সংবাদপত্রগুলিতে। রিপাবলিকা নামে একটি সংবাদপত্রে প্রকাশিত হয়েছে, ভারতীয় সুরক্ষা আধিকারিকদের আর্জি আগামী দুদিন যেন নেপাল সীমান্তে হাই অ্যালার্ট জারি করা হয়।