পাঞ্জাবে ধর্মীয় অবমাননার অভিযোগে যুবককে গণপিটুনিতে খুনের ২৪ ঘণ্টার মধ্যে আরও একজনের নৃশংস মৃত্যু। একই ভাবে গণপিটুনির পর তলোয়ারের আঘাতে খুন করা হল কাপুরথালার নিজামপুর গ্রামের এক শিখ যুবককে। রবিবার তাঁকে কিছু অজ্ঞাতপরিচয় যুবক খুন করে ধর্মীয় অবমাননার অভিযোগে। গুরদ্বারাতে ধর্মীয় অবমাননা করার অভিযোগে পুলিশের সামনেই নৃশংসভাবে মারা হয় তাঁকে।
একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে, যাতে দেখা যাচ্ছে একজন শিখ যুবক ওই অভিযুক্তকে মারছে। যদিও এক শীর্ষ পুলিশ আধিকারিক দাবি করেছেন, গুরদ্বারাতে গুরু গ্রন্থসাহিবের কোনও অবমাননা হয়নি। পুলিশ সুপার হরকমলপ্রীত সিং খাখ জানিয়েছেন, গুরদ্বারাতে যুবকের ধরা পড়ার খবর পেতেই ছুটে যায় পুলিশ। পুলিশ যুবককে তাঁদের হাতে দিতে বলে, কিন্তু উন্মত্ত জনতা তাতে কান দেয়নি। পিটিয়ে পিটিয়ে পুলিশের সামনে আধমরা করে দেওয়া হয় যুবককে।
জানা গিয়েছে, গুরদ্বারাতে একটি ঘরে যুবককে আটকে রেখেছিল জনতা। পুলিশের সঙ্গে শিখ সম্প্রদায়ের যুবকদের বাকবিতণ্ডা হয়। বচসার মধ্যেও পুলিশের হাতে যুবককে দিতে অস্বীকার করে উন্মত্ত জনতা। শিখ সম্প্রদায়ের লোকজন গুরদ্বারার বাইরে বিক্ষোভ দেখান। দাবি করেন, অভিযুক্তকে তাঁদের হাতে দিতে হবে তাহলে তাঁরা তাঁকে শিক্ষা দিতে পারবেন।
এর আগে বারগারিতে একইভাবে ধর্মগ্রন্থ অবমাননার ঘটনায় পুলিশ কাউকে শাস্তি দিতে পারেনি, তাই এবার আইন নিজের হাতে তুলে নেয় জনতা। পুলিশ বাধ্য হয়ে গুরদ্বারাতে ঢুকে অভিযুক্তকে বের করতে যায়। তখন শিখদের সঙ্গে পুলিশের ধস্তাধস্তি হয়। সেই সময় কয়েক জন তলোয়ার দিয়ে যুবককে খুন করে।
আরও পড়ুন স্বর্ণমন্দির কাণ্ডে নিহত যুবকের বিরুদ্ধে খুনের চেষ্টার মামলা পুলিশের
গুরদ্বারার ম্যানেজার অমরজিৎ সিংয়ের অভিযোগ, "যুবক নিশান সাহিবের অবমাননা করে গুরদ্বারাতে। তার কিছুক্ষণ পরই তাঁকে ধরে ফেলে জনতা। ধরা পড়ার পর অভিযুক্ত জানান, দিল্লি থেকে এসেছেন তিনি।" কিন্তু পুলিশের সামনেই তাঁর খুনের ঘটনায় ফের একবার আইন-শৃঙ্খলা প্রশ্নের মুখে পাঞ্জাবে।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন