সংক্রমণের ঊর্ধ্বমুখী গ্রাফ উদ্বেগ ধরাচ্ছে মহারাষ্ট্রে। কয়েকদিন আগেই উদ্বেগ প্রকাশ করে রাজ্যের বেশ কয়েকটি জায়গায় লকডাউন করার হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরে। ইতিমধ্যেই নাগপুর ও সংলগ্ন কিছু এলাকায় এক সপ্তাহের লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে আগামী ১৫ মার্চ থেকে। কিন্তু কেন রাজ্যবাসীর হুঁশ ফিরছে না তা নিয়ে যথেষ্ট চিন্তিত প্রশাসন। মুখ্যমন্ত্রী বৃহস্পতিবার জানিয়েছেন, দুদিনের মধ্যে সিদ্ধান্ত নিয়ে বেশ কিছু জায়গায় লকডাউন জারি করা হবে।
এদিন মুম্বইয়ের জেজে হাসপাতালে কোভ্যাক্সিনের ডোজ নেন মুখ্যমন্ত্রী। স্ত্রী ও শাশুড়িও টিকার ডোজ নিয়েছেন এদিন। তিনি রাজ্যবাসীকে আশ্বস্ত করে জানিয়েছেন, টিকা নিতে কোনও দুশ্চিন্তা করার প্রয়োজন নেই। যাঁরা টিকা নেওয়ার যোগ্য তাঁরা ভ্যাকসিন নিক নির্দ্বিধায়। এর কিছুক্ষণ আগেই নাগপুর কমিশনারেটের অধীনে একাধিক জায়গায় ১৫ মার্চ থেকে ২১ মার্চ পর্যন্ত লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে। প্রশাসন জানিয়েছে, সরকারি অফিসে ২৫ শতাংশ হাজিরা থাকবে এবং নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের দোকান ছাড়া সব কিছুই এক সপ্তাহ বন্ধ থাকবে।
গত বুধবারই নাগপুরে একদিনে ১৭১০ জন করোনা আক্রান্তের হদিশ পাওয়া গিয়েছে। রাজ্যে মৃত্যুর সংখ্যায় কিছুটা লাগাম পরানো গেলেও সংক্রমণ বাঁধ মানছে না। মুম্বই-সহ শহরতলিতে লোকাল ট্রেন পরিষেবা শুরু হওয়ার পর থেকে সংক্রমণ বেড়েই চলেছে। অমরাবতী, মুম্বই, আকোলা এবং বিদর্ভের কিছু কিছু জায়গায় গত ফেব্রুয়ারি মাস থেকে সংক্রমণ বেড়েই চলেছে। পুনে, নাগপুর, অমরাবতী, থানে এবং মুম্বইয়েই রাজ্যের প্রায় ৫৯.৪ শতাংশ করোনা পজিটিভ কেস পাওয়া গিয়েছে।